
কলা খেয়ে কি ওজন কমানো যায়?


বাংলাপ্রেস ডেস্ক: আপনি ওজন কমাতে চাইছেন, তাহলে কলা খেতে পারেন। পাকা কলা না কাঁচা কলা— কোনটি খেলে ভালো হয়? এ বিষয়ে ভারতের পুষ্টিবিদ শম্পা চক্রবর্তী বলেছেন, যেহেতু পাকা কলায় ক্যালরির পরিমাণ বেশি থাকে— ১০০ গ্রাম কলায় ১১৭-১২০ কিলোক্যালরি পাওয়া যায়। তাই কলা ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। তবে যদি ক্যালরি মেপে খাওয়া যায়, তাহলে ওজন যারা কমাতে চাইছেন, তারাও কলা ডায়েটে রাখুন।
কারও সারা দিনে ১২০০ কিলোক্যালোরি প্রয়োজন। তিনি সারা দিনে ভাত, রুটি ও অন্যান্য খাবার খেয়ে তার সঙ্গে কলা খেলেন। এ ক্ষেত্রে তার দিনের ধার্য ক্যালরির পরিমাণ বেড়ে যাবে। শম্পা বলেন, যারা ওজন কমাতে চাইছেন, তারা যদি রুটি বা ভাতের পরিমাণ কমিয়ে অথবা সেগুলো বাদ দিয়ে পাকা কলা খান, তাহলে অসুবিধা হবে না। সকালে রুটি না খেয়ে একটি রুটির পরিবর্তে একটি কলা খাওয়া যেতে পারে। কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম।
তিনি বলেন, কারও শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা নিয়ে অসুবিধা না থাকলে, ডায়েটে কলা রেখে ওজন কমানো যেতে পারে। কেউ দুপুরের খাবারে ভাতের সঙ্গে অন্য সবজি না খেয়ে একটি কলা খেলেন, সেটি চলতে পারে। আবার রাতের খাবারে একটি রুটি, একটি কলা, এক কাপ দুধ খেলেন, তাতেও ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
এ বিষয়ে পুষ্টিবিদরা বলছেন, শুধু ক্যালোরি নয়, একটি কলা শরীরে পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, ভিটামিন বি৬, অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের অভাব পূরণ করতে পারে। এতে থাকে ফাইবার। তাই শরীর ভালো রাখতে ফাইবারে সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া খুব জরুরি।
একটি পাকা কলা খেলে পেট বেশ কিছুক্ষণ ভরা থাকে। ফলে চট করে অন্য কিছু খাওয়ার ইচ্ছা হয় না। উল্টোপাল্টা খাবার বাদ পড়লে, ক্যালোরি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। যা ওজনকমাতে পরোক্ষভাবে সহায়ক হয়। এ ছাড়া শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজের অনেকটাই পূরণ করে কলা।
আবার কাঁচকলায় পাকা কলার চেয়ে ক্যালোরির পরিমাণ একটু কম। স্টার্চের পরিমাণ কম। তবে ওজনকমাতে পাকা কলার চেয়ে কাঁচকলা বাড়তি ভূমিকা রাখে বলে মনে করেন না পুষ্টিবিদরা। কারণ কাঁচকলায় রয়েছে পেকটিনের মতো ডায়েটরি ফাইবার। এই ফাইবার ওজনকমাতে সাহায্য করে। তবে সারা দিনে কতটা ক্যালোরি খাওয়া হচ্ছে, তার ওপর নির্ভর করবে কাঁচকলা বা পাকা কলা ওজনবাড়াবে না কমাবে।
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]
বিপি>টিডি
আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন





