বাংলাপ্রেস ডেস্ক: দিনাজপুর অঞ্চলে গত এক সপ্তাহ ধরে সূর্যের দেখা মেলেনি। ঘন কুয়াশার সাথে হিমেল হাওয়ায় হাড় কাঁপানো শীতের দাপটে কাহিল মানুষ।
তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় রাস্তায় কমেছে মানুষের চলাচল। উষ্ণতার আশায় কেউ কেউ আগুন জ্বালিয়ে শরীর গরম করে নিচ্ছেন। আবার কেউ ভিড় জমাচ্ছেন চায়ের দোকানে। দূরপাল্লার গাড়িগুলো চলাচল করছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। দিনের তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষ। ঘন কুয়াশা ও প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় নাকাল হয়ে পড়েছে গবাদী পশুগুলো।
এদিকে শীতজনিত রোগে আক্রান্তের হার বেড়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। এতে হাসপাতালে রোগীর চাপ বাড়ছে।
আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টায় দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ৯৬ শতাংশ।
এদিকে জেলা প্রশাসন জানায়, শীত নিবারণে দিনাজপুরের ১৩ উপজেলায় ইতোমধ্যে ৬২ হাজার ৩৮০টি কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। জেলার চাহিদা অনুযায়ী আরো ৫০ হাজার কম্বল এবং শিশুদের গরম কাপড় চেয়ে ১৫ জানুয়ারি ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে বিশেষ চাহিদা পাঠানো হয়েছে।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান জানান, মঙ্গলাবর দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৬ ভাগ, গতি ছিল ১ নটস। জেলায় চলতি সপ্তাহে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হতে পারে।
জেলা সিভিল সার্জন এএইচএম বোরহানুল ইসলাম সিদ্দিকী জানান, তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় শীতজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। এজন্য শিশু ও বয়স্কদের ঠাণ্ডা থেকে দূরে রাখাসহ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে শিশু ও বয়স্কদের বের না হওয়াই ভালো।
বিপি/টিআই
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]