১৪ অক্টোবর ২০২৫

লালমনিরহাটে কৃষি জমি তামাক চাষ পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৩৮ পিএম
লালমনিরহাটে কৃষি জমি তামাক চাষ পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা
মামুনুর রশিদ মিঠু, লালমনিরহাট থেকে : লালমনিরহাটে কৃষি জমি তামাক চাষের দখলে পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা। উত্তর অঞ্চলের বহুল আলোচিত সীমান্তবর্তী জেলা লালমনিরহাট শস্য ভান্ডারের খ্যাতি অর্জনকারী অঞ্চল।

এ জেলায় কৃষি জমি এখন তামাক চাষের দখলে। গত তিন দশকে জেলার ৮০ শতাংশ কৃষি জমি গ্রাস করেছে পরিবেশ বিধ্বংশী তামাক। সরেজমিনে দেখা যায় খরস্রোতা তিস্তার তীরবর্তী চর ও বোরো চাষের জমিতে বোরো ও রবি শস্য চাষের পরিবর্তে তামাক চাষ করছে কৃষকেরা। কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিবছর তামাক চাষের কারণে এলাকার কৃষি জমিগুলোর উর্বরতা শক্তি নষ্ট হচ্ছে।

এ ব্যাপারে তিনি সরকারি বেসরকারি সংস্থাগুলোকে আহ্বান জানান। কৃষকরা বলেন, রবিশস্য বাজারজাতকরণে রয়েছে নানা সমস্যা অপরদিকে তামাক চাষে পুঁজিবাদী তামাক কোম্পানিগুলো কৃষকদের আগাম টাকা ঋণ ও নানা ধরনের উপকরণে সুযোগ-সুবিধা প্রদান করছে। যা রবিশস্য চাষে ও বাজারজাতকরণে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো সহজে কোন কিছুই দিতে পারছে না।

লালমনিরহাট সদর উপজেলা মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের ঢটোগাছ গ্রামের কৃষক মজিদুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, কৃষি উপকরণের মূল্য অনুযায়ী ইরিবোরো ধান ও রবিশস্য চাষ আমাদের খরচ পোষায় না। একই অভিযোগ করেন সাপ্টিবাড়ি এলাকার রাশেদ আলী ও আবুল কাশেম। তাঁরা বিভিন্ন তামাক কোম্পানিগুলোর লোভনীয় অফার নিয়ে তামাক চাষে ঝুঁকে পড়েছে। পুঁজিবাদী বিভিন্ন কোম্পানি এ অঞ্চলের কৃষকদের আগাম টাকা, সার, বীজসহ নানা সুযোগ-সুবিধা দেয়ায় কৃষকরা রবিশস্যের পরিবর্তে এখন তামাক চাষ করছে। তামাক চাষ করায় মাটির স্বাভাবিক গুণাগুন নষ্ট হচ্ছে এবং জমির জন্য উপকারী পোকামাকড়ও ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে যা এই অঞ্চলের জন্য কৃষি ক্ষেত্রে মোটেও সুখবর নয়।

কৃষি বিভাগ জানায় , চলতি মৌসুমে ৯৮ হাজার ৭৭৫ হেক্টর জমি আবাদি রয়েছে। এর মধ্যে ৯ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে তামাক আবাদ করা হয়েছে। অন্যান্য বারের চেয়ে আলু আবাদ তুলনামূলকভাবে কমেছে। ৪ হাজার ৪৫ হেক্টর জমিতে আলু চাষাবাদ করা হয়েছে বলে জেলা কৃষি বিভাগ নিশ্চিত করেছে।

বিপি/আর এল

[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন