১৪ অক্টোবর ২০২৫

লক্ষ্মীপুরে একই ব্যাক্তি একাধিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৩৮ পিএম
লক্ষ্মীপুরে একই ব্যাক্তি একাধিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত

আব্দুল মালেক নিরব, লক্ষ্মীপুর থেকে : লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার খিলবাইছা রাহমানিয়া ফাযিল (ডিগ্রী ) মাদ্রাসার এক জন শিক্ষক একাই তিনটি পদে কর্মরত রয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

তিনি একই সাথে আইন পেশায় ও নিয়োজিত রয়েছেন বলে অভিযোগ সূত্রে জানা যায়। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম মো. মনির হোসেন এবং তিনি উক্ত প্রতিষ্ঠানের বাংলা প্রভাষক তাঁর (ইনডেক্স নং ৩১৮৭৩৭)। তিনি খিলবাইছা রাহমানিয়া ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসার বাংলা প্রভাষকের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত লক্ষ্মীপুর টির্চাচ ট্রেনিং কলেজেরও অধ্যক্ষ হিসেবে ও দায়িত্ব পালন করছেন।

মো. মনির হোসেন ইতোপুর্বে লক্ষ্মীপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য ছিলেন। কিন্তু একই সাথে তিনি একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকায় তিনি তাঁর আইনজীবী তালিকাভূক্তি সনদ লক্ষ্মীপুর বার থেকে পরিবর্তন করে বিগত ১৮.১০.২০১০ইং তারিখে ঢাকা জেলা আইনজীবী সমিতিতে সংযুক্ত করেন (ইইঊ/ঝঊঈ- ০২/ষধশংযসরঢ়ঁৎ-২০৯/২০১০/২০৮৪) সে মোতাবেক তিনি ঢাকা আইনজীবী সমিতির একজন নিয়মিত সদস্য হিসেবে ঢাকায় আইন পেশায় কর্মরত রয়েছেন। যাহা বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকুরি বিধি বহির্ভূত এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ ২০০৬ এর ৭ (ট) বিধির সরাসরি লংঘন। মাদ্রাসার অবিভাভকগন জানায়, বাংলা প্রভাষক নিয়মিত মাদ্রাসায় আসেন না। তিনি প্রায় মাদ্রাসায় অনুপস্তিত থাকায় ২০১৮ ইং সনে অনুষ্ঠিত আলিম পরিক্ষায় শুধু মাত্র বাংলা বিষয়ে ২৯ জন শিক্ষার্থী অকৃতকার্য্য হয়। তিনি লক্ষ্মীপুর বি এড কলেজে অধ্যক্ষ পদে থাকলেও সেখানেও তিনি নিয়মিত উপস্তিত থাকেন না। যার কারনে শিক্ষার্থীরা বি এড প্রশিক্ষণে ভর্তি হয়েও কাংক্ষিত ফলাফল পাচ্ছে না বলে জানা গেছে। শিক্ষার মানোন্নয়নের স্বার্থে অভিযুক্ত শিক্ষকের এমন অনৈতিক কাজ ও সরকারি দায়িত্ব পালনে অবহেলা এবং একই সাথে একাদিক পদে থেকে সরকারি সুবিধা গ্রহণের দায়ে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নিকট যথাযথ বিচারের জোর দাবী জানান। এ বিষয়ে খিলবাইছা রাহমানিয়া ফাযিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা নুর হাসানের সাথ যোগাযোগ করলে তিনি বিষয়টি স্বীকার করে বলেন , শিক্ষক মনির হোসেন নিয়মিত মাদ্রাসায় আসেন না এবং নিয়মিত শিক্ষার্থীদের পাঠদান করেন না। যার ফলে ২০১৮ সালের আলিম পরিক্ষায় অংশগ্রহন করে মাদ্রাসার ২৯ জন শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয় যার কারনে মাদ্রাসার সুনাম চরমভাবে ক্ষুন্ন হয়।

এছাড়াও তিনি ঢাকা জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য ও লক্ষ্মীপুর টির্চাচ ট্রেনিং কলেজের অধ্যক্ষ বলে জানান । আমি তাকে এ বিষয়ে মূখিক ভাবে সর্তক করলে তিনি উল্টো আমাকে চাকরি হতে তাড়ানোর হুমকি দেয়। এবিষয়ে অভিযুক্ত মনির হোসেনের সাথে যোগাযোগ করতে খিলবাইছা রাহমানিয়া ফাযিল মাদ্রাসায় ও লক্ষ্মীপুর টির্চাচ ট্রেনিং কলেজে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। এবিষয়ে জানতে চাইলে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সুরিৎ কুমার চাকমা বলেন, আমি এবিষয়ে একটি লিখিত অভিয়োগ পেয়েছি এবং সে অনুযায়ী অভিযুক্ত শিক্ষকের সাথে কথা বলেছি তিনি বলেছেন বিএড কলেজের অধ্যক্ষ পদে থাকলেও সেখান থেকে কোন বেতন ভাতা নেন না। আর বি এড কলেজ যেহেতু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন দেয় ফলে সেখানে আমার তেমন কিছু করার নেই। আইন পেশায় থাকার বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে আমার মনে হয় এভাবে একাদিক প্রতিষ্ঠানে চাকরি করা ঠিক না।

বিপি/আর এল

[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন