বাংলাপ্রেস ডেস্ক: মাসে একাধিক দিন মাইগ্রেনের যন্ত্রণায় কাহিল হয়ে পড়েন অনেকে। কখনও কখনও ব্যথা এতটাই তীব্র হয় যে, স্বাভাবিক কাজকর্ম করাও অসম্ভব হয়ে ওঠে। মাথাব্যথা একটি প্রচলিত উপসর্গ হলেও, সব মাথাব্যথাই মাইগ্রেন নয়—এটা বোঝা অনেক সময় কঠিন হয়ে পড়ে। মাইগ্রেন অনেক সময় বংশগত হয়।পরিবারের কারো এই সমস্যা থাকলে নিজে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। মস্তিষ্কের ‘ট্রাইজেমিনাল নার্ভ’ উত্তেজিত হলে এবং ‘সেরেটোনিন’ নামক রাসায়নিকের ভারসাম্য বিঘ্নিত হলে মাইগ্রেনের ব্যথা দেখা দেয়। একবার এই ব্যথা শুরু হলে সহজে কমতে চায় না। কিছু নির্দিষ্ট খাবার আছে, যেগুলি এই যন্ত্রণা অনেক গুণ বাড়িয়ে দিতে পারে।চলুন, জেনে নিই।
চকোলেট
চকোলেট ও তার থেকে তৈরি যেকোনো পানীয় বা মিষ্টান্ন মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়াতে পারে। চকোলেটে থাকা ক্যাফেইন ও ট্যানিন জাতীয় উপাদান এই সমস্যা তীব্র করে তোলে।
অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার
নোনতা খাবারে থাকা সোডিয়াম মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়াতে পারে।শুধু তাই নয়, এটি উচ্চ রক্তচাপ ও অন্য ধরনের মাথাব্যথার কারণও হতে পারে।
অ্যালকোহল
অ্যালকোহল বিশেষ করে রেড ওয়াইন, মাইগ্রেনের অন্যতম বড় ট্রিগার। গবেষণা বলছে, প্রায় ৩৫ শতাংশ মানুষ মাইগ্রেনের ব্যথায় ভোগেন অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে।
মিষ্টি ও চিনি-যুক্ত খাবার
চিনি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার রক্তে শর্করার তারতম্য ঘটিয়ে মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়াতে পারে। তাই মিষ্টিজাতীয় খাবার ও পানীয় এড়িয়ে চলাই ভালো।
কফি বা ক্যাফেইন-যুক্ত পানীয়
অতিরিক্ত চা বা কফি খেলে মাইগ্রেনের প্রবণতা বেড়ে যায়। ক্যাফেইন মাথাব্যথার একটি প্রধান কারণ হতে পারে। দিনে মাত্রাতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণ মাইগ্রেনকে তীব্র করে তোলে।
[বাংলা প্রেস বিশ্বব্যাপী মুক্তচিন্তার একটি সংবাদমাধ্যম। স্বাধীনচেতা ব্যক্তিদের জন্য নিরপেক্ষ খবর, বিশ্লেষণ এবং মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজ আগের চেয়ে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]
বিপি>টিডি
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]