১৫ অক্টোবর ২০২৫

মায়ানমারে ঐতিহাসিক রেলসেতু ধ্বংস

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৪২ পিএম
মায়ানমারে ঐতিহাসিক রেলসেতু ধ্বংস
বাংলাপ্রেস ডেস্ক:  মায়ানমারের ক্ষমতাসীন সামরিক জান্তা রবিবার জানিয়েছে, অভ্যুত্থানবিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো বোমা মেরে একটি ঐতিহাসিক রেলওয়ে সেতু ধ্বংস করেছে। উপনিবেশ আমলের সেতুটি একসময় বিশ্বের সর্বোচ্চ রেলওয়ে ট্রেসেল হিসেবে পরিচিত ছিল। ২০২১ সালের অভ্যুত্থানে বেসামরিক সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে মায়ানমার গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে আছে। সামরিক বাহিনী গণতন্ত্রপন্থী গেরিলা ও নানা জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে। জান্তার মুখপাত্র জাও মিন তুন গণমাধ্যমে পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় এদিন বলেন, তা’আং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ) ও পিপলস ডিফেন্স ফোর্স গোকতাইক সেতুতে বোমা হামলা চালিয়ে তা ধ্বংস করেছে। আরেকটি বিবৃতিতে জান্তা দাবি করেছে, সেতুটি স্থলমাইন বিস্ফোরণ ঘটিয়ে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ৩৩৪ ফুট গভীর গিরিখাতের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা গোকতাইক ভায়াডাক্ট মায়ানমারের সবচেয়ে উঁচু সেতু। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমলে ১৯০১ সালে চালু হওয়ার সময় এটি বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু রেলওয়ে ট্রেসেল ছিল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ও ছবিতে দেখা গেছে, সেতুটি আংশিকভাবে ধসে পড়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই সেতু মান্দালয়ের সঙ্গে উত্তরাঞ্চলীয় শান রাজ্যকে রেলপথে যুক্ত করে এবং পর্যটকদের কাছেও জনপ্রিয়। তবে টিএনএলএর এক মুখপাত্র অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, জান্তা নিজেরাই সেতুতে বোমা হামলা করেছে। মুখপাত্র লোয়ে ইয়াই উ আরো বলেন, মায়ানমার সেনাবাহিনী আজ সকালে ড্রোন ব্যবহার করে আমাদের ঘাঁটিতে বোমা হামলার চেষ্টা করেছিল।
তারা আমাদের লক্ষ্য করে বোমা ফেললেও সেই বোমা গোকতাইক সেতুতেও আঘাত হানে।সম্প্রতি টিএনএলএ ও জান্তার মধ্যে নাওংকিয়ো ও কিয়াউকমে শহরে তীব্র সংঘর্ষ হয়েছে। জুলাই মাসে নাওংকিয়ো শহর পুনর্দখল করার দাবি করেছিল জান্তা।[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।] বিপি>টিডি
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন