বাংলাপ্রেস ডেস্ক: মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেট নিয়ে ফের অসন্তোষ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদিন ফাহিম শুক্রবার স্পষ্ট করে বলেছেন, বোর্ড কখনোই ধীরগতির বা কম বাউন্সের উইকেট তৈরির জন্য গ্রাউন্ডস কমিটিকে নির্দেশ দেয়নি।
সম্প্রতি মিরপুরে পাকিস্তানকে ২-১ ব্যবধানে হারালেও প্রথম দুই ম্যাচের ধীরগতির উইকেট নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়ে বাংলাদেশ। অনেকেই মনে করেন, প্রথম দুই ম্যাচে এমন উইকেটে খেলা হয়েছিল যেখানে ব্যাটারদের শট খেলতে বেশ কষ্ট হচ্ছিল, আর সেটিই মূলত জয় এনে দিয়েছে স্বাগতিকদের।তুলনামূলক ভালো উইকেটে অনুষ্ঠিত তৃতীয় ম্যাচে ব্যাটিং ব্যর্থতায় হেরে যায় স্বাগতিকরা। এর আগে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও এমন উইকেট ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।
নাজমুল বলেন, ‘বহুবার চেষ্টা সত্ত্বেও মিরপুরের উইকেট প্রত্যাশা অনুযায়ী হয়নি। আমার মনে হয়, একে স্পোর্টিং করার চেষ্টা হয়েছিল, কিন্তু তারা পারেনি।এর দায় যারা উইকেট প্রস্তুতের দায়িত্বে আছেন, তাদের। কারণ বোর্ডের পক্ষ থেকে উইকেট ধীরগতির বা লো বানানোর কোনো নির্দেশনা কখনোই ছিল না।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা সবসময়ই ভালো ও বাউন্সি উইকেট চাই। কিন্তু মাটির ধরন, পরিবেশ ও অতিরিক্ত ম্যাচের কারণে তা হয় না বলে শোনা যায়।সামগ্রিকভাবে মিরপুরের উইকেট সন্তোষজনক নয়— এটা সবাই মেনে নিয়েছে।’
তিনি আরো ইঙ্গিত দেন, প্রয়োজন হলে পুরো মাটির স্তর বদলে ফেলার মতো বড় পরিবর্তন আনা হতে পারে। ‘হয়তো পুরো মাটির স্তরটাই বদলাতে হবে, অথবা উইকেট তৈরির প্রক্রিয়া পরিবর্তন করতে হবে। আশা করি, শিগগিরই এখানে পরিবর্তন আসবে এবং আমরা মিরপুরে ভালো উইকেট দেখব,’ যোগ করেন তিনি।
সম্প্রতি বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলামও মিরপুরের উইকেটের সমালোচনা করেছেন।তিনি বলেছেন, কালো মাটি ব্যবহারের কারণে ব্যাটারদের বল দেখা কঠিন হয়ে যায়। নাজমুলও একই মত প্রকাশ করেছেন।
‘যদি উইকেটে ঘাস থাকত, তাহলে হয়তো বলের রং এত দ্রুত নষ্ট হতো না। যেহেতু প্রাকৃতিক ঘাস নেই, বল মাটির সঙ্গে ঘর্ষণে মাটির রং শোষণ করে ফেলে এবং একসময় বল কম সাদা হয়ে গাঢ় হয়ে যায়। এতে দৃশ্যমানতায় প্রভাব পড়ে। সুতরাং, এটা অবশ্যই একটি বিষয়। আমাদের বোর্ড সভাপতি এ বিষয়ে সঠিক মন্তব্য করেছেন’ বলেন নাজমুল।
[বাংলা প্রেস বিশ্বব্যাপী মুক্তচিন্তার একটি সংবাদমাধ্যম। স্বাধীনচেতা ব্যক্তিদের জন্য নিরপেক্ষ খবর, বিশ্লেষণ এবং মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজ আগের চেয়ে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]
বিপি>টিডি
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]