বাংলাপ্রেস ডেস্ক: মুখের ভিতরে ঘা বা আলসার হলে শুধু খাওয়াদাওয়া নয়, প্রতিদিনের কথাবার্তা, হাসি, এমনকি ব্রাশ করাও কষ্টকর হয়ে পড়ে। এই অস্বস্তিকর সমস্যাটি নানা কারণে হতে পারে এবং সময়মতো যত্ন না নিলে আরও বেড়ে যেতে পারে। চলুন, জেনে নিই কেন হয় মুখে ঘা (মাউথ আলসার)?মুখে আলসার হওয়ার পেছনে থাকতে পারে একাধিক কারণ:
কোষ্ঠকাঠিন্য,
হরমোনের ভারসাম্যহীনতা,
ভিটামিন সি ও বি-এর ঘাটতি,
দাঁত দিয়ে নিজের জিভ বা মুখ কামড়ে ফেলা,
জীবাণুর সংক্রমণ বা মুখে দুর্ঘটনাবশত ক্ষত,
একবার এই ঘা দেখা দিলে তাড়াতাড়ি সেরে উঠতে সময় লাগে। তাই সতর্ক থাকা জরুরি।ঘা হলে কী করবেন? কিছু সহজ ঘরোয়া সমাধান
খাবারে সতর্কতা রাখুন
ঝাল ও টক জাতীয় খাবার পুরোপুরি এড়িয়ে চলুন। এই ধরনের খাবারে মুখে জ্বালা ও ব্যথা বেড়ে যায়। ঘা আরো খারাপ হতে পারে।
মুখ পরিষ্কার রাখুন
দিনে অন্তত তিনবার ব্রাশ করুন ও প্রচুর পানি পান করুন।মুখের স্বাস্থ্য ঠিক রাখা ঘা দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য করে।
মধু ব্যবহার করুন
মুখের ঘা বা ক্ষতস্থানে কয়েক ফোঁটা মধু লাগাতে পারেন। মধুর অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল গুণ সংক্রমণ কমায় ও ঘা শুকাতে সাহায্য করে।
নারিকেল তেল
ঘায়ের জায়গায় বিশুদ্ধ নারকেল তেল লাগালে আরাম মেলে।এর অ্যান্টিসেপটিক গুণ মুখের ক্ষত সারাতে সহায়তা করে।
ভিনেগার দিয়ে কুলকুচি করুন
এক গ্লাস পানিতে অল্প ভিনিগার মিশিয়ে কুলকুচি করলে মুখের জীবাণু কমে। দিনে দুইবার ব্যবহার করলে ভালো ফল পেতে পারেন।
লবণ পানি দিয়ে কুলকুচি
লবণ মিশ্রিত গরম পানি দিয়ে কুলকুচি করলে মুখ পরিষ্কার থাকে এবং ঘা কমতে সাহায্য করে। তবে এতে হালকা জ্বালা অনুভব হতে পারে, তাই খুব বেশি ব্যবহার করবেন না।
অ্যালোভেরা শাঁস ব্যবহার করুন
বাজার থেকে কেনা জেল নয়, অ্যালোভেরা গাছ থেকে তাজা শাঁস বার করে সরাসরি ঘায়ের জায়গায় লাগান। এর অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল গুণ ঘা শুকাতে সহায়ক।মুখে ঘা হলে প্রথমেই সচেতন হন। যতটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন এবং ঘরোয়া প্রতিকার মেনে চলুন। তবুও যদি সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হয় বা ঘা বাড়তে থাকে, তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
[বাংলা প্রেস বিশ্বব্যাপী মুক্তচিন্তার একটি সংবাদমাধ্যম। স্বাধীনচেতা ব্যক্তিদের জন্য নিরপেক্ষ খবর, বিশ্লেষণ এবং মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজ আগের চেয়ে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]
বিপি>টিডি
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]