বাংলাপ্রেস ডেস্ক: ড্রাগন ফল শুধু নামেই নয়, দেখতে ও খেতেও অনন্য। সঠিকভাবে চাষ করতে পারলে এ ফল থেকে পাওয়া যায় মিষ্টি স্বাদ আর ভালো আয়। অনেকেই ড্রাগন ফল চাষ করে ব্যবসায়িকভাবে লাভবান হয়েছেন। আবার কারোর কাছে এটা বাগানের সৌন্দর্য বাড়ানোর মাধ্যম, কারোর কাছে নিজের বাগানের ফল খাওয়ার আনন্দ।সামান্য যত্নে বাড়ির বারান্দা বা ছাদের টবেই এই গাছ বড় হয়ে ফল দিতে পারে। এর জন্য দরকার হবে বড় টব, ঝুরঝুরে মাটি, পর্যাপ্ত রোদ আর শক্ত খুঁটি। চলুন, জেনে নিই ড্রাগন ফল চাষের ধাপে ধাপে নিয়মগুলো।
সঠিক টব নির্বাচন
অন্তত ২০ ইঞ্চি চওড়া এবং ১২ ইঞ্চি গভীর টব নিতে হবে।টবের নীচে ছিদ্র থাকা জরুরি, যাতে পানি জমে না থাকে।
মাটি তৈরি
প্রথমে ২:১:১ অনুপাতে মাটি তৈরি করতে হবে। এরপর ২ ভাগ মোটা বালি, ১ ভাগ কম্পোস্ট এবং ১ ভাগ নারকেলের ছোবড়া বা পার্লাইট ব্যবহার করতে হবে। এই মিশ্রণ গাছকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি জোগাবে এবং মাটি ঝুরঝুরে রাখবে, ফলে শিকড় সহজে ছড়াতে পারবে।
খুঁটির ভর
ড্রাগন ফল লতানো ধরনের গাছ। তাই টবের মধ্যে একটি বাঁশ, লোহার পাইপ বা শক্ত কাঠ গেঁথে খুঁটি তৈরি করতে হবে। গাছ বড় হলে শাখাগুলো নরম দড়ি বা কাপড় দিয়ে আলতো করে বেঁধে দিন। এতে গাছ ভেঙে পড়বে না, সোজা হয়ে ওপরে উঠবে।
যত্ন নেওয়ার নিয়ম
সূর্যের আলো
প্রতিদিন কমপক্ষে ৬–৮ ঘণ্টা সরাসরি রোদ প্রয়োজন।তবে দুপুরে খুব বেশি তাপ হলে হালকা ছায়ার ব্যবস্থা করা ভালো।
পানি দেওয়া
মাটি শুকনা হলে পানি দিতে হবে। সাধারণত সপ্তাহে একবার পানি দেওয়া যথেষ্ট। শীতকালে আরো কম পানি দিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যে অতিরিক্ত পানি দিলে শিকড় নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
ছাঁটাই ও ফুল ফোটানো
অতিরিক্ত ডাল ছেঁটে দিলে গাছ আরো শক্ত হয় এবং সহজে ফুল ধরে। ড্রাগন ফল সাধারণত রাতে ফুল ফোটায়। চাইলে নরম ব্রাশ দিয়ে এক ফুল থেকে অন্য ফুলে পরাগ ছড়িয়ে দিলে ফল ধরার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায়।
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]
বিপি>টিডি
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]