১৫ অক্টোবর ২০২৫

পাকিস্তানে আটকে পড়া বাঙালিদের নাগরিকত্ব দিবে পাকিস্তান !

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৩৭ পিএম
পাকিস্তানে আটকে পড়া বাঙালিদের নাগরিকত্ব দিবে পাকিস্তান !

বাংলাপ্রেস অনলাইন: পাকিস্তানে জন্মগ্রহণ করা কয়েক হাজার বাঙালিকে নাগরিকত্ব দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। রোববার তার এই ঘোষণা জাতীয়তাবাদীদের ক্রোধের সম্মুখীন করতে পারে। খবর আল জাজিরা।

দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দর নগরী করাচিতে এক অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেন পাক প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও আফগান শরণার্থীদেরও নাগরিকত্ব প্রদানের ঘোষণা দেন তিনি। পাকিস্তানের করাচিতে আফগান শরণার্থী এবং আটকে পড়া বাঙালি অভিবাসীদের বাস সবচেয়ে বেশি। সিন্ধু প্রদেশের রাজধানী করাচির গভর্নর হাউসে এক নৈশভোজে ইমরান বলেন, অনেক আফগান এবং বাঙালি গত ৪০ থেকে ৫০ বছর ধরে এখানে বসবাস করছেন। এখানে তাদের ছেলে-মেয়েদের জন্ম হয়েছে। ইনশাআল্লাহ আমরা তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র এবং পাসপোর্ট দিতে পারব। বাঙালি ও আফগান নাগরিকদের জাতীয়তার অনুমোদন দিয়ে প্রাদেশিক আইন এবং অধ্যাদেশ যুক্ত করা হবে। আর এখানে মূলত গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে দেশটির বাণিজ্যিক রাজধানী করাচিকেই।

পাকিস্তানে বসবাসরত বাঙালিদের অবস্থার বর্ণনা করে ইমরান খান বলেন, পুরো প্রজন্ম (বাঙালি এবং আফগান) এখানে জন্মগ্রহণ করেছে এবং বেড়ে উঠেছে। কিন্তু তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র এবং পাসপোর্ট নেই। যার কারণে তারা চাকরি পাচ্ছে না। যেটা শেষ পর্যন্ত তাদের সন্ত্রাসসহ বিভিন্ন অপরাধের দিকে ঠেলে দেবে। করাচি হলো পাকিস্তানের সবচেয়ে জনবহুল শহর। এখানে দেড় কোটির বেশি মানুষ বসবাস করে। বিগত কয়েক দশকে এই অঞ্চলে রাজনৈতিক এবং অপরাধ কার্যক্রম বেড়ে গেছে। বিশেষ করে সড়ক সন্ত্রাসের মতো অপরাধগুলো। এই নগরীতে ২০ লাখের বেশি আফগান শরণার্থী এবং বাঙালি অভিবাসী বসবাস করে। পাকিস্তানে ১৬ লাখ নিবন্ধিত এবং ১০ লাখের বেশি অবৈধ আফগান শরণার্থী রয়েছে।

ইমরান খানের এই ঘোষণা বিপুল পরিমাণ আফগান এবং বাঙালিদের জন্য সুখবর। বিশেষ করে বিহারীদের জন্য। কেননা ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান সৃষ্টির সময় প্রথবারের মতো তারা ভারত ছেড়ে বাংলাদেশ অর্থাৎ তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তানে আসে। এরপর ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সময় বাংলাদেশ ছেড়ে পাকিস্তানে যায়।

বাংলাপ্রেস/আর এল
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন