বাংলাপ্রেস ডেস্ক: কাটা ঘায়ে যেন নুনের ছিটাই দিলেন সুরেশ রায়না। ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অব লিজেন্ডসের ফাইনালে হেরে যখন হতাশ পাকিস্তান চ্যাম্পিয়নস ঠিক তখনই খোঁচা মারলেন ভারতের সাবেক ব্যাটার। বাঁহাতি ব্যাটার জানিয়েছেন, সেমিফাইনালে খেললে তারাও পাকিস্তানকে বিধ্বস্ত করত।
দক্ষিণ আফ্রিকা চ্যাম্পিয়নস শিরোপা জেতার পর সামাজিক মাধ্যম এক্সে এই খোঁচা মারেন রায়না।সেঞ্চুরিয়ান এবি ডি ভিলিয়ার্সের প্রশংসা করে তিনি লিখেছেন, ‘ফাইনালে কী দুর্দান্ত এক ইনিংসই খেললেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। আমরা (সেমিফাইনাল) খেললেও তাদের এভাবে মাটিতে নামিয়ে দিতাম। তবে সবকিছুর উর্ধ্বে আমরা দেশকে স্থান দিয়েছি।’
সাবেকদের টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের ম্যাচও বয়কট করে ভারত চ্যাম্পিয়নস।ভারতের মতোই টুর্নামেন্টে স্পনসর করা ইজ মাই ট্রিপ আবার এক ধাপ এগিয়ে। পাকিস্তানের সব ম্যাচ থেকেই নিজেদের সরিয়ে নিয়েছে স্পনসর প্রতিষ্ঠানটি। তাই ভারতীয় প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠাতা নিশান্ত পিত্তির প্রতিও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রায়না। ৩৮ বছর বয়সী ব্যাটার লিখেছেন, ‘ইজ মাই ট্রিপ ও নিশান্ত পিত্তির প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা।তাদের কোনো ম্যাচেই সমর্থন দেয়নি। একেই বলে আসল চরিত্র।’গতকাল ফাইনালে প্রোটিয়াদের কাছে না বলে বলা যায় ডি ভিলিয়ার্সের কাছেই হেরেছে পাকিস্তান। কেননা একাই ১২০ রানের অপরাজিত এক ইনিংস খেলেছেন ‘৩৬০ ডিগ্রি’ খ্যাত ব্যাটার। ২০০.০০ স্ট্রাইকরেটের ইনিংসটি সাজিয়েছেন ৭ ছক্কা ও ১২ চারে।তার এমন বিধ্বংসী ইনিংসে ১৯৬ রানের লক্ষ্য ১৯ বল হাতে রেখে জয় পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৫০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে জয়ে অবদান রেখেছেন জেপি ডুমিনিও। এর আগে শারজিল খানের ৭৬ রানের ইনিংসে ভর করে ১৯৫ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় পাকিস্তান চ্যাম্পিয়নস।শুধু ফাইনালেই নয়, এমন বিধ্বংসী ব্যাটিং টুর্নামেন্ট জুড়েই করেছেন ডি ভিলিয়ার্স। সর্বশেষ চার ইনিংসে ৩টি সেঞ্চুরি পেয়েছেন সাবেক প্রোটিয়া ব্যাটার। সবমিলিয়ে টুর্নামেন্টে ৬ ইনিংসে ৪২৯ রান করেছেন তিনি। তাতে টুর্নামেন্টসেরার পুরস্কার তো জিতেছেনই সঙ্গে গতকাল আরও তিন পুরস্কার পেয়েছেন। স্বীকৃতিগুলো হচ্ছে-মাস্টার ব্লাস্টার অব দ্য ম্যাচ, মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ার আর গেম চেঞ্জার অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার।
[বাংলা প্রেস বিশ্বব্যাপী মুক্তচিন্তার একটি সংবাদমাধ্যম। স্বাধীনচেতা ব্যক্তিদের জন্য নিরপেক্ষ খবর, বিশ্লেষণ এবং মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজ আগের চেয়ে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]
বিপি>টিডি
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]