বাংলাপ্রেস ডেস্ক: মন মুগ্ধ করা ঘন লোম, শান্ত স্বভাব আর রাজকীয় চেহারার কারণে পার্সিয়ান বিড়াল এখন অনেকের পছন্দের পোষ্য। তবে তাদের এই সৌন্দর্য ধরে রাখতে প্রয়োজন নিয়মিত ও বিশেষ পরিচর্যা। সাধারণ বিড়ালের চেয়ে এদের যত্ন একটু বেশিই নিতে হয়। সঠিক যত্ন না নিলে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।চলুন, জেনে নিই।
খাদ্যাভ্যাস : পার্সিয়ান বিড়ালের সঠিক পুষ্টি নিশ্চিত করা খুবই জরুরি। এরা মূলত মাংসাশী প্রাণী, তাই তাদের খাবারে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি থাকা উচিত। ৪ সপ্তাহ বয়স পর্যন্ত মায়ের দুধই তাদের প্রধান খাদ্য।যদি মা না থাকে, তবে কিটেন ফর্মুলা বা গরুর দুধের সাথে পানি মিশিয়ে খাওয়ানো যেতে পারে। ১২ সপ্তাহের পর থেকে আস্তে আস্তে সেদ্ধ মাছ, মাংস ও কিটেন ফুড দেওয়া শুরু করা যায়। প্রাপ্তবয়স্ক পার্সিয়ান বিড়ালকে সেদ্ধ কাঁটাবিহীন মাছ, মাংস, ডিমের কুসুম, মিষ্টিকুমড়া, গাজরের পাশাপাশি ভালো মানের ক্যাট ফুড দেওয়া যেতে পারে। তবে তেল, মসলা বা লবণযুক্ত খাবার ও কাঁচা মাছ-মাংস বিড়ালকে দেওয়া যাবে না।এ ছাড়া অতিরিক্ত ভাত দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে, অতিরিক্ত ভাত বিড়ালের কৃমির কারণ হতে পারে। প্রয়োজনে টাটকা ঘাস রাখা যেতে পারে। এতে বিড়ালের হজমে সুবিধা হয়।
লোম ও শরীর পরিচর্যা : পার্সিয়ান বিড়ালের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হলো তাদের লম্বা ও ঘন লোম। কিন্তু এই লোমের কারণে তাদের নিয়মিত পরিচর্যা প্রয়োজন।প্রতিদিন বিড়ালের লোম ব্রাশ করা উচিত। এতে লোম জট লেগে যাবে না এবং অতিরিক্ত লোম ঝরে যাওয়া কমে আসবে। এই প্রজাতির বিড়ালকে মাসে একবার গোসল করানো যথেষ্ট। তবে খেয়াল রাখতে হবে বিড়ালের কানে যেন কোনোভাবেই পানি না ঢুকে। গোসলের সময় অবশ্যই বিড়ালের জন্য তৈরি বিশেষ শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে। মানুষের শ্যাম্পু ব্যবহার করা যাবে না। গোসলের পর ভালোভাবে মুছে বা হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে লোম শুকিয়ে দিতে হবে। নিয়মিত চোখ ও নাক পরিষ্কার রাখতে হবে এবং নখ কাটার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন বেশি গভিরভাবে কাটা না হয়। এতে বিড়ালের ক্ষতি হতে পারে। অনেক সময় বিড়ালের লোমে উকুনের সমস্যা দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে বিড়ালের বয়স ৬ মাসের কম হলে উকুনাশক চিরুনী ব্যবহার করতে হবে। আর বিড়ালের বয়স ৬ মাসের অধিক হলে নির্দেশনা অনুযায়ী উকুনাশক স্প্রে বা শ্যাম্পু ব্যবহার করা যাবে।
স্বাস্থ্য সমস্যা ও সতর্কতা : পার্সিয়ান বিড়ালের কিছু নির্দিষ্ট স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। এদের মুখের গঠন ফ্ল্যাট হওয়ায় চোখ থেকে জল পড়া এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা হতে পারে। পার্সিয়ান বিড়ালের মধ্যে জিনগত কারণে পলিসিস্টিক কিডনি ডিজিজ দেখা যেতে পারে। বিড়ালকে বছরে অন্তত দুবার পশু চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া উচিত। সঠিক সময়ে ভ্যাকসিন দেওয়া এবং কৃমির ঔষধ খাওয়ানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অন্যান্য যত্ন : পার্সিয়ান বিড়াল শান্ত পরিবেশ পছন্দ করে। তাদের জন্য একটি পরিষ্কার এবং আরামদায়ক থাকার জায়গা নিশ্চিত করতে হবে। বিড়ালের জন্য একটি পরিষ্কার লিটার বক্স রাখা জরুরি। কেননা অপরিষ্কার স্থানে বিড়াল মলমূত্র ত্যাগ করতে পছন্দ করে না। বিড়ালকে চাপমুক্ত রাখতে বিভিন্ন ধরনের খেলনা দিতে হবে এবং তাদের সঙ্গে খেলার জন্য সময় বের করতে হবে।
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]
বিপি>টিডি
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]