বাংলাপ্রেস ডেস্ক: খাবার খাওয়ার পর হঠাৎ ঘুম ঘুম ভাব, পেট ফাঁপা বা অস্বস্তি লাগার অভিজ্ঞতা অনেকেরই হয়। যদিও ঘুমের অভাব, মানসিক চাপ ও জীবনযাত্রার ধরণ এতে প্রভাব ফেলে, তবুও কিছু নির্দিষ্ট খাবার এর জন্য সরাসরি দায়ী। চলুন, জেনে নিই কয়েকটি সাধারণ খাবারের কথা, যেগুলো হজমে সমস্যা, গ্যাস, ক্লান্তি ও অস্বস্তির কারণ হতে পারে।
প্রক্রিয়াজাত খাবার ও পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট
সাদা রুটি, পেস্ট্রি বা ফাস্ট ফুড তাৎক্ষণিক শক্তি দিলেও রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়িয়ে দেয়।
এর ফলে ইনসুলিন হঠাৎ বেড়ে গিয়ে পরে একদম কমে যায়, যা ক্লান্তির সৃষ্টি করে। এসব খাবারে অতিরিক্ত সোডিয়াম থাকে, যা শরীরে পানি আটকে রাখে এবং পেট ফাঁপিয়ে তোলে।
কার্বনেটেড পানীয়
সোডা বা স্পার্কলিং ওয়াটার পান করলে হালকা লাগতে পারে, কিন্তু এতে থাকা গ্যাস আমাদের পরিপাকতন্ত্রে অতিরিক্ত বাতাস জমায়। ফলে পেট ফাঁপা, ঢেকুর আর অস্বস্তি দেখা দেয়।
দুগ্ধজাত খাবার (যদি ল্যাকটোজে অ্যালার্জি থাকে)
দুধ, চিজ, আইসক্রিম খাওয়ার পর কারো কারো পেটে ব্যথা, গ্যাস বা ক্লান্তি দেখা দিতে পারে, বিশেষ করে যদি ল্যাকটোজ ইন্টলারেন্স থাকে। এমন না থাকলেও চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার হজমে ধীরতা আনায় ক্লান্তি তৈরি করতে পারে।
ক্রুসিফেরাস সবজি (যেমন ব্রকলি, বাঁধাকপি)
এই ধরনের সবজিতে র্যাফিনোজ নামে একধরনের চিনি থাকে, যা অন্ত্রে গাঁজন তৈরি করে।
এতে গ্যাস ও পেট ফাঁপার সমস্যা হতে পারে, বিশেষ করে যদি কাঁচা খাওয়া হয়।
কৃত্রিম মিষ্টি
সোরবিটল, জাইলিটল, অ্যাসপার্টেম ইত্যাদি কৃত্রিম মিষ্টিগুলো অনেক ডায়েট খাবারে ব্যবহৃত হয়। এগুলো অন্ত্রে ঠিকভাবে হজম হয় না, ফলে গ্যাস, ফাঁপা ও হজমের গোলমাল হতে পারে। দীর্ঘমেয়াদে এগুলো অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্যও নষ্ট করে দিতে পারে।
কোন খাবারের পর পেট ফাঁপে, ক্লান্ত লাগে বা ঘুম পায় সেগুলো চিনে নিয়ে প্রয়োজনে তা এড়িয়ে চলুন। স্বাস্থ্যকর খাবার বেছে নেওয়াই সুস্থ ও সক্রিয় থাকার প্রথম ধাপ।
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]
বিপি>টিডি
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]