বাংলাপ্রেস ডেস্ক: বর্তমানে অনেকেই স্বাস্থ্যসচেতন হয়ে শরীরচর্চার পাশাপাশি প্রোটিন পাউডার গ্রহণ করছেন। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রোটিন পাউডার সঠিকভাবে না খেলে উপকার তো মেলে না, উল্টো হতে পারে নানা রকম শারীরিক সমস্যা। চলুন, জেনে নিই প্রোটিন পাউডার ব্যবহারে সাধারণ ১০টি ভুল এবং কিভাবে তা এড়িয়ে চলা যায়।
না জেনে যেকোনো প্রোটিন বেছে নেওয়া :
বাজারে হুই, কেসিন, সয়া, মটর, চালসহ বিভিন্ন প্রোটিন পাউডার পাওয়া যায়।নিজের শরীর ও প্রয়োজন অনুযায়ী কোনটি উপযুক্ত, তা বুঝে নির্বাচন করতে হবে।
ভেজাল বা নকল পণ্য কেনা :
ভেজাল প্রোটিনে ক্ষতিকর উপাদান থাকতে পারে। তাই অনুমোদিত ও বিশ্বস্ত উৎস থেকে কেনাটাই নিরাপদ।
প্রাকৃতিক প্রোটিন বাদ দেওয়া :
প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট নিলেও ডিম, ডাল, দই, পনিরের মতো প্রাকৃতিক উৎসকে বাদ দেওয়া উচিত নয়।এগুলোরও প্রয়োজন আছে।
দুধের সঙ্গে প্রোটিন মেশানো :
দুধে প্রোটিন মিশিয়ে খেলে হজমে সময় লাগে। ওয়ার্কআউটের আগে বা পরে সাধারণত পানির সঙ্গে মেশানোই ভালো।
প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খাওয়া :
অতিরিক্ত প্রোটিন কিডনির ক্ষতি করতে পারে।সাধারণভাবে প্রতি কেজি ওজনের জন্য ১ গ্রাম প্রোটিন যথেষ্ট।
কম পানি পান করা :
প্রোটিন গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে পানি না খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস ও অ্যাসিডিটির সমস্যা হতে পারে।
ফাইবার বাদ দেওয়া :
প্রোটিন হজমে সাহায্য করতে ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার যেমন শাকসবজি, ফল নিয়মিত খাওয়া জরুরি।
শুধুই ওয়ার্কআউটের পর খাওয়া :
প্রোটিন শুধু শরীরচর্চার পর নয়, সকালের নাশতায়, স্ন্যাকসে বা স্মুদি হিসেবেও খাওয়া যেতে পারে।
উপাদান না দেখে কেনা :
প্রডাক্টের লেবেল না পড়ে বা উপাদান যাচাই না করে কিনলে ঝুঁকি বাড়ে।সবসময় উপাদান ও রিভিউ দেখে বুঝে নিতে হবে।
ব্যায়াম না করেও নিয়মিত খাওয়া :
যারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন না, তাদের শরীরের অতিরিক্ত প্রোটিনের প্রয়োজন নেই। সাধারণ খাবার থেকেই চাহিদা পূরণ হয়।প্রোটিন পাউডার খাওয়ার আগে ডায়েটিশিয়ান বা চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া সবচেয়ে ভালো। কারণ সবার শরীরের চাহিদা এক নয়।
[বাংলা প্রেস বিশ্বব্যাপী মুক্তচিন্তার একটি সংবাদমাধ্যম। স্বাধীনচেতা ব্যক্তিদের জন্য নিরপেক্ষ খবর, বিশ্লেষণ এবং মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজ আগের চেয়ে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]
বিপি>টিডি
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]