
প্রথম দিনে সফলতা পেলো না বাংলাদেশ!


খেলাধুলা ডেস্ক: ব্যাট হাতে শুরুটা ততোটাও খারাপ হয়নি বাংলাদেশের। কিন্তু দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই যেনো পাল্টে যায় চিত্র।প্রথম ইনিংস শেষে বাংলাদেশ ২৩৪ রান। যেখানে তামিমের সংগ্রহ ১২৬ রান। বাকি নয় ব্যাটসম্যানের সম্মিলিত সংগ্রহ ১০৮ রান। ওয়ানডেতে ব্যাটসম্যানদের যে ভঙ্গুর দশা ছিল ঠিক তারই দেখা মিলল টেস্টের প্রথম ইনিংসে। সেই সঙ্গে দিন শেষে টাইগারদের আফসোস আরো বাড়িয়ে দিয়েছেন সৌম্য সরকার। যদি না তিনি স্লিপে লাথামের ক্যাচটি না ছাড়তেন।
হ্যামিল্টন টেস্টের প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশ এগিয়ে আছে ১৪৮ রানে। ক্যারিয়ারের অষ্টম অর্ধশত তুলে নিয়েছেন জিত রাভাল। ৫১ রানে অপরাজিত রয়েছেন তিনি। ফিফটির দোরগোড়ায় লাথামও। তিনিও অপরাজিত আছেন ৩৫ রানে।
এর আগে সবুজ ঘাসে মোড়ানো উইকেটে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় কিউই অধিনায়ক। ওয়ানডেতে রান না পেলেও সকলের প্রত্যাশা ছিল তামিমের প্রতি। তার প্রতিদানও দিতে থাকেন তামিম। তার ঝড়ো ব্যাটে ২০ ওভারেই দলীয় ১০০ পূরণ হয় বাংলাদেশের। উদ্বোধনী জুটিতে সাদমানের সঙ্গে ৫৭ রান তোলেন তামিম।পরে ট্রেন্ট বোল্টের বলে ২৪ রান করে ফিরে যান সাদমান ইসলাম। এরপর মুমিনুলকে সঙ্গে নিয়ে ৬৪ রানের জুটি গড়েন তামিম। যেখানে তামিমের সংগ্রহ ছিল ৫২ রান। এরপর ওয়াগনারের বলে উইকেটের পিছনে উইকেট দিয়ে ফেরেন ১২ রান করা মুমিনুল।
তৃতীয় উইকেটে মিঠুন নামলেও তেমন সুবিধা করতে পারেননি। দলীয় ১৪৭ রানে ওয়াগনারের বলে ল্যাথামের ক্যাচে পরিণত হন। এরপর চতুর্থ উইকেটে সৌম্য নামলেও আবারও ব্যর্থ তিনি। এক রান করে সাউদির শিকারে পরিণত হন।এরপর দলীয় ৩৩তম ওভারের ৪র্থ বলে নেইল ওয়াগনারকে চার মেরে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তামিম। এসময় তিনি ১৮টি চার মারেন। এটি তার টেস্ট ক্যারিয়ারের নবম সেঞ্চুরি।
শেষ পর্যন্ত তামিম ১২৬ রান করে দলীয় ১৮০ রানের সময় গ্র্যান্ডহোমের শিকার হন। তামিম এ রান করতে ১২৮ বল খরচ করেন। যেখানে চার ছিল ২১ আর ছয়ের মার ছিল একটি। এর ফলে টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশিদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৯টি সেঞ্চুরি এখন তার নামের পাশে। দেশের হয়ে সব ফরম্যাট মিলিয়ে সর্বোচ্চ ২১টি সেঞ্চুরিও তার।
তামিমের বিদায়ের পর ওয়াগনার ও সাউদির পেসের সামনে আর দাঁড়াতে পারেনি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। ওয়াগনারের বলে ষষ্ঠ উইকেট হিসেবে নিজস্ব ২২ রানে ফেরত আসেন মাহমুদুল্লাহ। এরপর লিটনের সঙ্গে জুটি বাঁধেন মিরাজ। দলীয় ২১৭ রানের সময় আবারো ওয়াগনারের আঘাত। এবার ১০ রান করে ফিরে যান মিরাজ।
২৯ রান পরে এবার আঘাত হানেন আরেক পেসার টিম সাউদি। এবার শিকার আবু জায়েদ রাহী। দলীয় ২৩৪ রানে নবম উইকেট হিসেবে খালেদ বিদায় নেন। আর শেষ উইকেট হিসেবে লিটন দাসকে বোল্টের ক্যাচ বানিয়ে ম্যাচে পাঁচ নম্বর উইকেটটি তুলে নেন ওয়াগনার। টেস্ট ক্যারিয়ারে এটি ছিল ওয়াগনারের ষষ্ঠবারের মতো ৫ উইকেট।
নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ওয়াগনার ৫টি, সাউদি ৩টি, বোল্ট ও গ্র্যান্ডহোম একটি করে উইকেট লাভ করেন।
বিপি/কেজে
আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন

-68ed3a37ee5f5.jpg)



