বাংলাপ্রেস ডেস্ক: গোলমরিচের ঝাঁঝালো স্বাদের পেছনে রয়েছে একটি বিশেষ উপাদান, পিপেরিন। গবেষণা বলছে, এই পিপেরিন কেবল স্বাদ বাড়ায় না, বরং ক্যান্সার প্রতিরোধেও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। তবে এটাই গোলমরিচের একমাত্র গুণ নয়। নিয়মিত পরিমাণমতো গোলমরিচ খেলে শরীরের নানা উপকার হয়।চলুন, জেনে নিই কী কী উপকার পেতে পারেন.
হজমশক্তি বাড়ায়
গোলমরিচ হজমে সহায়ক হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড ও এনজাইম নিঃসরণে সাহায্য করে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজম ও পেট ফাঁপার সমস্যা কমায়।
শরীরকে বিষমুক্ত করে
এতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, যেমন- ভিটামিন সি, ভিটামিন এ ও ক্যারোটিনয়েডস। এগুলো শরীর থেকে ফ্রি র্যাডিকেল দূর করে, যা ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমায়।এ ছাড়া এর প্রদাহনাশক গুণ বাত বা অন্যান্য ব্যথাতেও উপশম দেয়।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে
গোলমরিচের বাইরের স্তরে থাকা ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস শরীরের চর্বি ভাঙতে সাহায্য করে এবং বিপাকক্রিয়া বাড়ায়। ফলে ওজন কমানো সহজ হয়।
সর্দি-কাশি কমায়
গোলমরিচের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য সর্দি, কাশি ও গলার শ্লেষ্মা দূর করতে সাহায্য করে।গরম চা বা মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেলে গলা ব্যথা দ্রুত কমে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
ভিটামিন সি ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে তোলে, ফলে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া সহজে কাবু করতে পারে না।
মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য রক্ষা করে
নিয়মিত গোলমরিচ খাওয়ায় স্মৃতিশক্তি বাড়ে এবং অ্যালঝেইমার্সের মতো স্মৃতিভ্রংশের ঝুঁকি কমে।
কিভাবে খাবেন?
প্রতিদিন খাবারে ১/৪ চা চামচ গোলমরিচের গুঁড়ো বা ৪-৫টি দানা খাওয়া নিরাপদ ও উপকারী। তবে বেশি খেলে পেটে গ্যাস, অম্বল বা হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে।তাই পরিমিত পরিমাণে খাওয়াই ভালো। তবে যাদের গ্যাস্ট্রিক বা আলসারের সমস্যা আছে, তারা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া নিয়মিত গোলমরিচ খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]
বিপি>টিডি
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]