
স্পোর্টস ডেস্ক: দলগত সমন্বয়ে শক্তিমত্তার হিসেবে রংপুর রাইডার্সের অনেকখানি পিছিয়ে রাজশাহী কিংস। কিন্তু রবিবার দুই দলের লড়াইয়ে রংপুরের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা নেতৃত্বে হেরে গেলেন রাজশাহীর অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের কাছে। দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ লড়াইয়ে মাত্র ৫ রানে হেরে যায় রংপুর। রাজশাহীর এ জয়ের অন্যতম নায়ক উইকেটশূন্য থাকা কাটার ও স্লোয়ার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমান। ৪ ওভারে ১৭ রান দেয়া মুস্তাফিজ শেষ ওভারে মাত্র ৩ রান দেন, যেখানে জেতার জন্য রংপুরের প্রয়োজন ছিল ৯ রানের। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে রাজশাহী ৮ উইকেটে ১৩৫ রান তোলার পর রংপুর নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৩০ রান করতে সক্ষম হয়। এটি রংপুরের ৫ ম্যাচে তৃতীয় হার, আর ৪ ম্যাচে দ্বিতীয় জয় রাজশাহীর। টস জিতে বিপিএলের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ অধিনায়ক মিরাজকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মাশরাফি। এদিনও মিরাজ ওপেনিংয়ে নামেন, তবে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই তাকে শূন্য রানে সাজঘরে পাঠান মাশরাফি। দুই অধিনায়কের লড়াইটাও শুরু হয়ে যায়। মুমিনুল হকও বেশিদূর যেতে পারেননি। ১৬ বলে ১৪ রান করা এ ওপেনারকে সোহাগ গাজী স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন। তবে এদিন তিনে নেমে সৌম্য সরকার দারুণ খেলছিলেন। কিন্তু ১৩ বলে ২ চার, ১ ছক্কায় ১৮ রান করে তিনি মাশরাফির দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন। ৩৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে যাওয়া রাজশাহীকে রক্ষা করেন মোহাম্মদ হাফিজ ও জাকির হাসান। চতুর্থ উইকেটে তারা ৫৪ রানের জুটি গড়েন। হাফিজ ২৯ বলে ২৬ করে রানআউট হয়ে গেলে জুটি ভেঙ্গে যায়। তবে তরুণ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান জাকির হাসান ৩৬ বলে ২ চার, ১ ছক্কায় ৪২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেললে ৮ উইকেটে ১৩৫ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় রাজশাহী। রংপুরের হয়ে ফরহাদ রেজা ১৭ রানে এবং মাশরাফি ২২ রানে ২টি করে উইকেট নেন।
জবাব দিতে নামা রংপুরের হয়ে ওপেনিংয়ে নামেন অধিনায়ক মাশরাফি নিজেই। তবে প্রথম ওভারের ষষ্ঠ বলে তিনিও রাজশাহী অধিনায়ক মিরাজের মতো শূন্য রানেই সাজঘরে ফেরেন পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বির বলে। তবে ক্রিস গেইল দারুণ খেলছিলেন। মোহাম্মদ মিঠুন তার সঙ্গে যোগ দিয়ে বেশি বড় করতে পারেননি জুটি। ১৪ বলে ২টি করে চার-ছক্কায় ২৩ রান তুলে সাজঘরে ফেরেন গেইলও, এবারও শিকারী রাব্বি। তৃতীয় উইকেটে রুশো-মিঠুনের ৪০ রানের জুটিতে জয়ের পথে এগিয়ে যায় রংপুর। তবে ১১তম ওভারে ৩১ বলে ২ ছয়ে ৩০ করা মিঠুনকে এবং ১৩তম ওভারে রবি বোপারাকে (২) সাজঘরে পাঠিয়ে রাজশাহীকে দারুণভাবে ম্যাচে ফেরান মোহাম্মদ হাফিজ। পরে নাহিদুল ইসলামও ১২ বলে ১ ছয়ে ১৬ রান করে আউট হন। এরপরও রুশো দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যান। শেষ ওভারে ৯ রান প্রয়োজন পড়ে রংপুরের। কিন্তু মুস্তাফিজের ওই ওভারের প্রথম বলে রুশো ১ রান নেয়ার পর টানা ৪ বলে ব্যাট লাগাতে পারেননি ফরহাদ রেজা। পঞ্চম বলে ব্যাটে না লাগলেও রান নিলে আবার রুশো স্ট্রাইকে ফেরেন। তবে ১ বলে জয়ের জন্য ৭ এবং টাই করতে ছক্কার প্রয়োজন পড়ে। মুস্তাফিজের দারুণ বলে ১ রানের বেশি নিতে পারেননি রুশো। তিনি ৪৫ বলে ৩ চারে ৪৪ রানে অপরাজিত থাকলেও রংপুর হেরে যায় ৫ রানে। হাফিজ ৪ ওভারে ২২ রানে এবং রাব্বি ২ ওভারে ২২ রানে নেন ২টি করে উইকেট। ৬ উইকেটে ১৩০ রানে শেষ হয় রংপুরের ২০ ওভারের ব্যাটিং!
বিপি/সিএস
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]