১৫ অক্টোবর ২০২৫

রাশিয়া-চীনের সম্পর্ক ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে: পুতিন

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৪২ পিএম
রাশিয়া-চীনের সম্পর্ক ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে: পুতিন
  বাংলাপ্রেস ডেস্ক: রাশিয়া ও চীনের সম্পর্ক এখন ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে মন্তব্য করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। একইসঙ্গে অর্থনীতি থেকে শুরু করে কৌশলগত সমন্বয় পর্যন্ত দুই দেশের অংশীদারিত্ব আরও গভীর হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। শনিবার (৩০ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, রাশিয়া ও চীনের সম্পর্ক এখন ‘অভূতপূর্ব উচ্চতায়’ পৌঁছেছে। শনিবার চীনের সংবাদসংস্থা সিনহুয়া-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ২০২১ সালের পর থেকে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য প্রায় ১০০ বিলিয়ন ডলার বেড়েছে। তিনি বলেন, ‘রাশিয়ার প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার এখন চীন। আর রাশিয়া গত বছরে চীনের পঞ্চম বৃহত্তম বৈদেশিক অংশীদার হয়েছে।’ তিনি আরও জানান, বাণিজ্য মূলত ডলারে হিসাব করা হলেও এখন প্রায় সম্পূর্ণভাবে নিজস্ব জাতীয় মুদ্রায় লেনদেন হচ্ছে। ডলার ও ইউরোর অংশ নেমে এসেছে ‘পরিসংখ্যানগত ভুলের স্তরে’। পুতিন উল্লেখ করেন, রাশিয়া এখনও চীনের শীর্ষ জ্বালানি সরবরাহকারী। ২০১৯ সালে চালু হওয়া ‘পাওয়ার অব সাইবেরিয়া’ পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ ইতোমধ্যেই ১০০ বিলিয়ন ঘনমিটার ছাড়িয়েছে। তিনি বলেন, ২০২৭ সালে পূর্বাঞ্চলীয় গ্যাস পাইপলাইন সম্পন্ন হলে চীনে গাড়ি রপ্তানি ও জ্বালানির চাহিদা পূরণে রাশিয়ার ভূমিকা আরও বাড়বে, যা দুই দেশের সম্পর্ককে গভীর করবে। পুতিনের ভাষায়, ‘আমার আসন্ন সফরে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট সহযোগিতা আরও বিস্তৃত করার বিষয়ে আলোচনা হবেই।’ শুধু অর্থনীতি নয়, কৌশলগত ক্ষেত্রেও রাশিয়া-চীনের সমন্বয়ের কথা তুলে ধরেন পুতিন। তার ভাষায়, এই সহযোগিতা ‘বিশ্ব রাজনীতির একটি প্রধান উপাদান’। জাতিসংঘ ও গ্রুপ অব ফ্রেন্ডস ইন ডিফেন্স অব দ্য ইউএন চার্টার-এ দুই দেশের যৌথ কাজকে তিনি গ্লোবাল সাউথকে শক্তিশালী করার প্ল্যাটফর্ম হিসেবে উল্লেখ করেন। দুই দেশই জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ সংস্কারের পক্ষে, যাতে এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার প্রতিনিধিত্ব আরও বাড়ে এবং বর্তমান বাস্তবতা প্রতিফলিত হয়। পুতিন বলেন, ‘আমরা ব্রিকসের মধ্যে চীনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে কাজ করছি, যাতে এটি আন্তর্জাতিক কাঠামোর অন্যতম প্রধান ভিত্তি হিসেবে প্রভাব বাড়াতে পারে। ‘ তিনি পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাকে বৈষম্যমূলক আখ্যা দিয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও বিশ্বব্যাংকের সংস্কারের আহ্বান জানান। বেইজিংয়ের সঙ্গে যৌথভাবে তিনি এমন এক ‘নতুন আর্থিক ব্যবস্থা’ গড়ে তোলার স্বপ্নের কথা বলেন, যা হবে ন্যায্য, উন্মুক্ত এবং ‘নব-উপনিবেশবাদী উদ্দেশ্যের ঊর্ধ্বে’।
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।] বিপি> এস পি
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন