১৩ অক্টোবর ২০২৫

রোজ পরোটা খাওয়া কি ঠিক?

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০২৫, ১২:১৫ পিএম
রোজ পরোটা খাওয়া কি ঠিক?

বাংলাপ্রেস ডেস্ক:   সকালের নাশতা যদি হয় ভারি আর মজাদার, তাহলে পুরো দিনটা যেন একটু ভালোভাবেই কাটে। তাই তো অনেকেই দিনের শুরুটা করেন একখানা গরম গরম পরোটা দিয়ে। তবে প্রশ্ন হলো—এই পরোটা কি আদৌ স্বাস্থ্যকর? রোজ খেলেও কি সমস্যা নেই? ডায়েটিশিয়ান বৈশালী ভার্মা ও পুষ্টিবিদ নিতি শর্মা দিয়েছেন এর সহজ উত্তর।

 

পরোটা শুনলেই যেন ‘মজা’ শব্দটাই আগে মনে আসে। তবে খুশির খবর হলো—সঠিক উপায়ে তৈরি করা হলে পরোটা নাশতার জন্য বেশ স্বাস্থ্যকর হতে পারে।

পরোটায় থাকে কার্বোহাইড্রেট ও ফাইবার, যা শরীরের শক্তি জোগায়। এর সঙ্গে ডাল, পনির বা সবজি যোগ করলে প্রোটিনও পাওয়া যায়। তবে পরোটার স্বাস্থ্যগুণ পেতে হলে সেটা কম তেলে, ভালো উপকরণ দিয়ে তৈরি করতে হবে।

তবে মনে রাখুন- প্রতিদিন একি জিনিস খাওয়া শরীরের পক্ষে ভালো না। পরোটাও তার ব্যতিক্রম নয়।

রোজ পরোটা খাওয়া কি ঠিক?

ডায়েটিশিয়ানরা বলছেন, পরোটা খাওয়া যায়, তবে প্রতিদিন না। একঘেয়ে খাবার খেলে শরীর যেমন ক্লান্ত হয়, তেমনি হজমেও সমস্যা হতে পারে।

বিশেষ করে যাদের গ্যাস্ট্রিক বা হজমের সমস্যা আছে, তাদের জন্য প্রতিদিন পরোটা খাওয়া একেবারেই ঠিক নয়। চাইলে সপ্তাহে ২-৩ দিন খেতে পারেন, সেটাও স্বাস্থ্যকর উপায়ে।

কীভাবে পরোটা বানালে সেটা স্বাস্থ্যকর হয়?

পুষ্টিবিদ নিতি শর্মা দিয়েছেন কিছু সহজ টিপস-

সাদা ময়দার বদলে গোটা গম বা মাল্টিগ্রেন আটা ব্যবহার করুন – এতে ফাইবার বেশি থাকবে, হজম ভালো হবে।

সবজির স্টাফিং দিন – পালং শাক, মেথি, গাজর বা বাঁধাকপি ব্যবহার করতে পারেন।

কম তেল ব্যবহার করুন – ২টা পরোটায় ৫ মি.লি.-র বেশি তেল নয়।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ মশলা যোগ করুন – যেমন হলুদ, জিরা, আদা গুঁড়ো।

দইয়ের সঙ্গে খান – দই পরোটা হজমে সাহায্য করে।

সঙ্গে খান সবজি বা ডাল – বাড়বে স্বাদ ও পুষ্টিগুণ।

সকালের নাশতা আপনার সারা দিনের ভিত্তি তৈরি করে। তাই চটজলদি কিছু খেলেই হলো—এমন ভাবা ঠিক নয়। পরোটা খেতেই পারেন, তবে সেটা যেন হয় স্বাস্থ্যকর উপায়ে।

আর হ্যাঁ, পরোটা খেলেই শরীর খারাপ হবে—এমনও না। বরং সচেতন থেকে খেলে সেটাই হতে পারে এক দারুণ পুষ্টিকর শুরু!

বিপি>টিডি

[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন