১৪ অক্টোবর ২০২৫

ঋণ পেতে হলে নগ্ন সেলফি জমা দিতে হবে

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৩৮ পিএম
ঋণ পেতে হলে নগ্ন সেলফি জমা দিতে হবে

বাংলাপ্রেস ডেস্ক, ঢাকা: টাকার বিনিময়ে স্বপ্ন কেনা যায়। অনেকে এমনটা মানতে রাজি না হলেও কঠোর বাস্তাবের মাটিতে দাঁড়িয়ে এ কথা অস্বীকার করার কোনও জায়গা নেই। তাই তো পেট চালাতে কবিকেও অনেক সময় বিজ্ঞাপনী লেখা লিখতে হয়। ঠিক তেমনই কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীরা নিজেদের পড়াশোনা ও আনুষঙ্গিক খরচ চালাতে টুকটাক কাজ করে থাকে। অনেকে আবার উচ্চশিক্ষার জন্য লোন নেওয়ার পথেও হাঁটে। কিন্তু ভাবলেই তো আর লোন নেওয়া যায় না। তার জন্য সোনা অথবা জমি-বাড়ি অথবা দামি কোনও জিনিস গচ্ছিত রাখতে হয়। তারপর ধীরে ধীরে শোধ করতে হয় লোনের অর্থ।

তবে এবার লোন পেতে হলে আর এসব কিছু জমা রাখার প্রয়োজন হবে না। ছাত্র-ছাত্রীদের লোন দিতে অভিনব পন্থা নিয়েছে চিনা কোম্পানিগুলি। তবে সে ফাঁদে একবার পা দিলে বেরনোর পথ খুঁজে পাওয়া মুশকিল।

যে সব ছাত্র-ছাত্রীরা টিউশন, বইপত্র কেনা কিংবা উচ্চশিক্ষার জন্য লোন নিতে চান, তাঁদের লোন দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে একাধিক চিনা কোম্পানি। লোনের অর্থ তখনই হাতে পাওয়া যাবে, যখন তাঁরা নগ্ন অবস্থায় সেলফি তুলে স্বেচ্ছায় তা গচ্ছিত রাখবে সেই কোম্পানির কাছে। হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন। ভাইস অস্ট্রেলিয়া সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। যেখানে বলা হয়েছে, চিনা ই-কমার্স সংস্থাগুলি ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য “নেকেড লোন সার্ভিসেস” শুরু করেছে। লোন শোধ হয়ে গেলে সেসব ছবি আবার তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। আপাত দৃষ্টিতে পড়ুয়াদের কাছে বিষয়টি খুব একটা সমস্যার মনে হয় না। কিন্তু তাঁদের সিদ্ধান্ত যে অজান্তেই কত বড় বিপদ ডেকে আনে, তা ধারণাও করতে পারেন না তাঁরা। কারণ কোম্পানিগুলি অনেক সময়ই এসব ছবি পরিবার ও বন্ধু-বান্ধবের কাছে ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে চড়া হারে সুদ দাবি করে। ফলে বিনা খরচে লোন পেতে গিয়ে চূড়ান্ত বিপাকে পড়তে হয় তাঁদের।

একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৬ সালে ১৬১ জন মহিলার মোট ১০ জিবি নগ্ন ছবি জমা পড়েছিল চিনা কোম্পানিতে। যাঁদের মধ্যে বেশিরভাগেরই বয়স ১৯ থেকে ২৩-এর মধ্যে। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে লোনের টাকা শোধ করতে না পারায় সকলের ছবি অনলাইনে ভাইরাল হয়ে যায়। শুধু তাই নয়, দেহব্যবসা করে তাঁদের লোন মেটানোর প্রস্তাবও দিয়েছিল কোম্পানিগুলি। তবে শুধু চিনেই এই পরিষেবা সীমাবদ্ধ থাকছে না। শোনা যাচ্ছে, ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশেও ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ছে এই বেআইনি ব্যবসা। তাই পড়ুয়াদের সতর্ক থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ।

বাংলাপ্রেস/আর এল

[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন