১৪ অক্টোবর ২০২৫

স্মার্টফোনে দীর্ঘসময় কাটানো কি ক্ষতিকর?

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৩৮ পিএম
স্মার্টফোনে দীর্ঘসময় কাটানো কি ক্ষতিকর?

জীবনযাপন ডেস্ক: স্মার্টফোন, ট্যাব, কম্পিউটার বা অন্য কোন ভিভাইসের স্ক্রীনে আপনি দীর্ঘ সময় কাটালে তা আপনার স্বাস্থ্যের ওপর কী প্রভাব ফেলে? একটানা দীর্ঘ সময় কোন ডিভাইসের স্ক্রীনে সময় কাটানো যে ক্ষতিকর, এতদিন মোটামুটি এটাই ছিল গ্রহণযোগ্য মত। কিন্তু নতুন এক গবেষণায় দাবি করা হচ্ছে, বেশি সময় স্ক্রীনে চোখ রাখলে যে মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর এর কোন নেতিবাচক প্রভাব পড়ে, এমন কোন সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে না।

যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইনস্টিটিউট টিনএজারদের ওপর দীর্ঘসময় স্ক্রীনে কাটানোর প্রভাব নিয়ে গবেষণাটি চালায়। বিশেষ করে তরুণরা ঘুমাতে যাওয়ার আগে লম্বা সময় ধরে কোন ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করলে তার কী প্রভাব তাদের সার্বিক মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর পড়ে, সেটাই তারা দেখেছে।

গবেষকদের একজন অ্যামি ওরবেন বলেন, "ঘুমানোর আগে আধঘন্টা, এক ঘন্টা বা দুঘন্টা ধরে কেউ স্ক্রীনে চোখ রাখলে সেটা যে তাদের স্বাস্থ্যের ওপর কোন প্রভাব ফেলে এমন কিছু আমরা পাইনি। তরুণ-তরুণীরা তাদের দিনের একটা উল্লেখযোগ্য সময় কাটায় স্মার্টফোনে যুক্তরাজ্য, আয়ারল্যান্ড এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ১৭ হাজারের বেশি টিনএজারের তথ্য সংগ্রহ করা হয় এই গবেষণার জন্য।

অ্যামি ওরবান বলেন, এই গবেষণার জন্য তথ্য সংগ্রহের সময় জরিপে অংশগ্রহনকারীরা যে তথ্য তাদের দিয়েছেন, শুধু সেটার ওপর তারা নির্ভর করেন নি। "কারণ মানুষ আসলে কতটা সময় স্ক্রীনে কাটায়, সেটা তারা নিজেরাই ঠিকমত অনুমান করতে পারে না।"

মানুষ কতক্ষণ ধরে স্মার্টফোন ব্যবহার করে, সে ব্যাপারে আগের গবেষণাগুলোতে নিজেরা যে আনুমানিক তথ্য দিয়েছিল, তার সাথে তাদের ফোন ট্র্যাক করে পাওয়া তথ্যের অনেক পার্থক্য ছিল।

স্ক্রীনে বেশি সময় কাটালেই তা মানসিক স্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে না বলে দাবি করছে অক্সফোর্ডের এই নতুন গবেষণা তবে সমালোচকরা অক্সফোর্ডর নতুন গবেষণা সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন তুলেছেন। এই গবেষণায় ব্যবহৃত কিছু তথ্য অনেক পুরনো, ২০১১ সালের। কিন্তু গত আট বছরে কিশোর-কিশোরীদের স্ক্রীনটাইম ব্যবহার অনেক বদলে গেছে। এখন তারা অনেক বেশি সময় স্ক্রীনে কাটায়।

কিশোর-কিশোরীরা অনলাইনে এমন সব জিনিস দেখছে, যা তাদেরকে ক্ষুধামান্দ্য বা আত্ম-ক্ষতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে উদ্বেগ আছে অভিভাবকদের মধ্যে। এমন ঘটনার কথা প্রচুর শোনা যায়। তবে অক্সফোর্ডের গবেষকরা জানাচ্ছেন, মানসিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে কে কতটা সময় স্ক্রীনে কাটাচ্ছে তার সর্ম্পক আসলে খুব কম।

অ্যামি অরবেন বলছেন, "এর মানে এই নয় যে ক্ষতিকর বা উপকারী কোন ডিজিটাল প্রযুক্তি নেই। আমরা যা বলতে চাইছি, তা হলো, এক্ষেত্রে আরও গবেষণার দরকার আছে।"

তবে গবেষণার ফল যাই হোক, ইন্টারনেটের ওপর আরও বেশি নিয়ন্ত্রণ আরোপের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারের ওপর চাপ দিনে দিনে বাড়ছে।

বিপি/কেজে

[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন