বাংলাপ্রেস ডেস্ক: অনেক পরিবারে সন্তানরা কিছুতেই সকালে ঘুম থেকে উঠতে চায় না। এমন অভিযোগ প্রায় মা-বাবার মুখেই শোনা যায়। সকালে ঘুম থেকে ওঠার নিঃসন্দেহে কিছু সুফল আছে। তবে সব নিয়ম শেখানোরও কিছু পদ্ধতি আছে।
অভিভাবকেরা সন্তানকে জীবনের পাঠ দিতে গিয়ে অনেক কড়াকড়ি দিয়ে ফেলেন। যে কারণে অনেক সময় হিতে-বিপরীত হয়। সন্তানের মনেও নানা আশঙ্কা বাসা বাঁধে।
শাসন করা ভালো।তবে মা-বাবাকেও বুঝতে হবে কতটা শাসন করা উচিত, কতটা নয়। জোর করে চাপিয়ে দেওয়া কোনো কিছুই আদতে শিখে উঠতে পারে না শিশুরা। বরং খুদের মনে অস্থিরতা তৈরি হয়।
তাই নিয়মের মধ্যে না বেঁধে সন্তানকে বোঝানোর চেষ্টা করুন।সেটা পারস্পরিক আলোচনা, গল্পের মাধ্যমেও হতে পারে। বিশেষ করে কিছু কাজ সকালে একেবারেই না করানো ভালো। কী সেসব কাজ, চলুন জেনে নেওয়া যাক—সকালে সন্তান ঘুম থেকে উঠুক, সেটা চাইলে সন্তানের রাতে শোয়ার সময়ও নির্দিষ্ট করে দেওয়া জরুরি। তবে একেবারে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ঘুম থেকে উঠে পড়তে বসে যাবে শিশু, এমন প্রত্যাশা করা অনুচিত। কারণ সেটা স্বাভাবিক নয়।বরং জোর না করে ধীরে ধীরে সকালে ওঠার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
সদ্য ঘুম থেকে ওঠার পরেই পড়তে বসানোর জন্য ব্যস্ত হবেন না। তার চেয়ে ঘুম থেকে যদি সকাল সকাল ওঠে, তাহলে শরীরচর্চা করাতে পারেন। বাড়ির সামনে মাঠ থাকলে সেখানে খেলতে নিয়ে যেতে পারেন। তারপর কিছু খাইয়ে পড়াতে বসান। তাহলে পড়াশোনাতেও মন বসবে শিশুর।
দিনের শুরুতে বকাবকি না করাই ভালো। তাহলে মেজাজ বিগড়ে যেতে পারে। মন থেকে চাঙ্গা না থাকলে কোনো কাজেই আর আগ্রহ দেখাবে না শিশু। তাই সকাল শুরু হাসি-মজা, দুষ্টুমি আর খুনসুটিতে।
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]
বিপি>টিডি
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]