১৫ অক্টোবর ২০২৫

সৈয়দপুরে প্রেমের ফাঁদে পড়ে যুবতী গর্ভবতী

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৩৮ পিএম
সৈয়দপুরে প্রেমের ফাঁদে পড়ে যুবতী গর্ভবতী

এম আর আলী টুটুল সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি : নীলফামারীর সৈয়দপুরে লম্পট যুবকের ফাঁদে পড়ে এক যুবতী গর্ভবতী হয়েছে। বিয়ে দেওয়ার কথা বলে বাড়ীতে নিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত বিয়ে না হওয়ায় ৪ দিন ধরে অবস্থান করছে প্রেমিক যুবকের বাড়ীতে ওই যুবতী।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের উত্তর সোনাখুলি হিন্দুপাড়া গ্রামের সুধির চন্দ্র রায়ের কন্যা ছদ্দনাম (রুপসী) ২২ কে প্রেমের প্রস্তাব দেয় কামারপুকুর ইউনিয়নের দলুয়া পথিরাম পাড়া গ্রামের পরিতোষ চন্দ্র রায়ের ছেলে বিধান চন্দ্র রায় (২৩)। বার বার প্রেমের প্রস্তাব ও বিয়ের প্রভোলন দেওয়ার কারণে মেয়েটি তার খপ্পরে পড়ে। শুরু হয় তাদের প্রেম নীলা। প্রেমের কয়েক মাস যেতেই রুপসীকে কু প্রস্তাব দেয় বিধান। কিন্তু ওই যুবতী বলে যে, বিয়ের আগে কোন কিছু হবে না।

কিন্তু সুচতুর বিধান বলে যে, মনে কর আমাদের বিয়ে হয়ে গেছে। যুবতীটি তার কথায় বিশ্বাস করে এবং তার ফাঁদে পা দেয়। যুবতীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে অবৈধভাবে শারিরীক মেলামেশা করে বিধান। এক পর্যায়ে যুবতীটি গর্ভবতী হয়ে পড়লে বিধানকে বিয়ের চাপ সৃষ্টি করে। কিন্তু বিধান আজ কাল করে তালবাহানা শুরু করেন। ওই যুবতীকে ধোকা দিতেই তড়িঘড়ি করে অন্যত্র বিয়ে ঠিক করেন বিধানের পিতামাতা। এমনকি তাদের ধর্মীয় প্রথা অনুযায়ী আশীর্বাদও হয়ে যায়। এ খবর জানতে পেরে রুপসী ৯ মে বিধানের বাড়ীতে চলে যায়।

ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে পরের দিন স্থানীয় ইউপি সদস্য, ইউপি চেয়ারম্যান, গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ স্থানীয় কতিপয় দালাল চক্র ওই যুবতীকে নিয়ে তার পিতার বাড়ী সোনাখুলিতে যায় তাকে রেখে আসতে। বিষয়টি জানতে পেরে এলাকাবাসীসহ পরিবারটি ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে জানান এবং সবাইকে আটকিয়ে রাখেন। পরে ওই দিন গভীর রাতে ইউনিয়ন পরিষদের প্যাডে দুই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেম্বারসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে বিধানের পিতামাতা স্বীকার করে যে, মেয়েটির সাথে তার ছেলের দীর্ঘ দিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তারা অঙ্গিকার করে যে, মেয়েটিকে তাদের জিম্মায় নিয়ে গিয়ে তাদের বাড়ীতে (ছেলের বাড়ীতে) ১০ মে বিয়ে দিবে। সে অনুযায়ী তারা মেয়েটিকে নিয়ে তাদের বাড়ীতে চলে যায়। কিন্তু বিয়ে না দিয়ে তারা মেয়েটিকে তাদের বাড়ীতে রেখেছেন। ৪ দিন ধরে মেয়েটি বিয়ের জন্য তাদের বাড়ীতে অবস্থান করছেন।

এ নিয়ে ১৩ মে রাতে কামারপুকুর ইউনিয়ন পরিষদে একটি শালিস বৈঠক বসে। বৈঠকে বিষয়টি সুরাহ না করে বরং ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। বৈঠকটি অমিমাংশিতভাবে শেষ হয়। পরে ছেলের পরিবার আরো কয়েকদিন সময় নেন। এদিকে মেয়েটি ওই বাড়ীতে যাওয়ার পর বিধান আতœগোপন করেছেন। অপরদিকে কতিপয় দালাল চক্র ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে উঠে পড়ে লেগেছেন। এলাকায় ১০/১২ জনের যুবকের একটি চক্র রয়েছে। ওই চক্রটি কোথাও নারী ঘটিত ঘটনা ঘটলে তার ছুটে যায়। যে পক্ষ অর্থশালী সেই পক্ষকে ফাঁদে ফেলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। তাদেরকে মদদ দেয় কয়েকজন জনপ্রতিনিধি।

তারা ছেলের পরিবারের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে দৌড়ঝাপ করছেন। স্থানীয় অনেকের প্রশ্ন টাকা পযসা খেয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়া হয় তাহলে মেয়েটির কি হবে। তার সন্তানের পরিচয় কি হবে। তাই তারা দালাল চক্রদের চিহ্নিত করে তাদের আইনের আওতায় এনে বিচার দাবী করেন এবং দ্রুত মেয়েটির বিয়ে দেওয়ার দাবী জানান।

বিপি/আর এল

[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন