বাংলাপ্রেস ডেস্ক: আমরা অনেকেই খাওয়ার পর এমন কিছু কাজ করি, যা আমাদের অজান্তেই শরীরের ক্ষতি করে। খাওয়ার পর খাবার হজম হয়ে পুষ্টি শোষিত না হওয়া পর্যন্ত কিছু বিষয় এড়িয়ে চলা খুবই জরুরি। না হলে হজমের সমস্যা, গ্যাস, এমনকি বড় ধরনের অসুস্থতাও দেখা দিতে পারে। চলুন, জেনে নিই এমন ৭টি কাজের কথা বলা হলো, যা খাওয়ার পর না করাই ভালো।
খাবার খেয়েই ফল খাবেন না
অনেকেই খাওয়ার সঙ্গে বা খাওয়ার পরই ফল খেয়ে ফেলেন। এতে ফল পাকস্থলীতেই আটকে যায় এবং অন্ত্রে ঠিকভাবে পৌঁছাতে পারে না। ফলে পুষ্টি শোষণ হয় না ঠিকভাবে। খাওয়ার অন্তত এক ঘণ্টা পর বা খাওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে ফল খান।
সকালে খালি পেটে ফল খাওয়া সবচেয়ে উপকারী।খাওয়ার পর চা নয়
চায়ের পাতায় থাকা উচ্চ অম্লতা খাবারের প্রোটিন হজমে ব্যাঘাত ঘটায়। খাওয়ার পর চা পান করলে হজমে সমস্যা হতে পারে। খাওয়ার অন্তত ১-২ ঘণ্টা পর চা পান করুন।
সঙ্গে সঙ্গে গোসল নয়
গোসল করার সময় শরীরের রক্তপ্রবাহ হাত-পা ও অন্যান্য অঙ্গে বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে। এতে পাকস্থলীতে রক্তপ্রবাহ কমে যায়, ফলে হজমে সমস্যা হয়। খাওয়ার অন্তত ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট পর গোসল করুন।
খেয়েই হাঁটবেন না
খাওয়ার পর হালকা হাঁটাচলা ভালো হলেও, খেয়েই সঙ্গে সঙ্গে হাঁটতে যাওয়া ভুল। এতে শরীরের শক্তি হজমের কাজে না গিয়ে বার্ন হয়ে যায়।খাওয়ার ১৫-২০ মিনিট পরে অল্প হেঁটে নিতে পারেন।
খাওয়ার পরপরই ঘুম নয়
খাবার হজম হতে সময় লাগে। খাওয়ার পরপরই ঘুমিয়ে পড়লে গ্যাস, বদহজম, এমনকি অন্ত্রে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। খাওয়ার অন্তত ১ থেকে ২ ঘণ্টা পর ঘুমান।
ধূমপান একেবারেই নয়
ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর—এ কথা সবাই জানে। কিন্তু খাওয়ার পর ধূমপান করলে ক্ষতির মাত্রা বেড়ে যায় বহুগুণ। গবেষণা বলছে, খাওয়ার পর একবার ধূমপান মানে একসঙ্গে ১০টি সিগারেটের ক্ষতি। এতে ক্যান্সারসহ নানা জটিল রোগের ঝুঁকি বাড়ে।সুস্থ ও হজমযোগ্য জীবনযাপনের জন্য শুধু কী খাচ্ছেন তা নয়, খাওয়ার পর কী করছেন—সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। উপরের অভ্যাসগুলো থাকলে এখনই বদলান, শরীর থাকবে হালকা, হজম ভালো আর জীবন হবে আরো আনন্দময়।
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]