
টাঙ্গাইলে স্বামীকে জিম্মি করে গৃহবধূ গণধর্ষণ


বাংলাপ্রেস ডেস্ক: টাঙ্গাইলে স্বামীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে এক গৃহবধূকে গণধর্ষণ করেছে এলাকার চিহ্নিত বখাটেরা। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে। ঘটনার সাথে জড়িত অভিযোগে ৬ জনকে আটক করে পুলিশ।
আটকরা হলো, শহরের কোদালিয়া এলাকার আলম মিয়ার ছেলে ইউসুফ রান, রফিকুলের ছেলে তাছিন, রশিদ মিয়ার ছেলে রবিন, দেওলা এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে জাহিদুল ইসলাম, আল বেরুনির ছেলে ইব্রাহীম ও নাগরপুরের মজনু মিয়ার ছেলে মফিজ। শুক্রবার দিবাগত রাতে টাঙ্গাইলের ডিসি লেক ও কোদালিয়ার এলাকায় রাতভর কয়েক দফায় পাশবিক নির্যাতনের শিকার হন ওই নারী।
পুলিশ জানায়, নির্যাতনের শিকার ওই নারী তার স্বামীর সাথে কালিহাতী থেকে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে টাঙ্গাইল শহরের নুতন বাস টার্মিনাল এলাকায় ওই বখাটেরা কৌশলে তাদের কাছ থেকে মোবাইল ও টাকা হাতিয়ে নেয়। পরে স্বামীর গলায় ছুরি ধরে পাশের নির্জন ডিসি লেক পাড়ে নিয়ে প্রথম দফা স্ত্রীর উপর নির্যাতন চালায়। কিছুক্ষণ পর সেখান থেকে তাদেরকে শহরের কোদালিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত একটি কক্ষে নিয়ে কয়েক দফায় পাশবিক নির্যাতন চালায়। এ সময় তার স্বামী কৌশলে পালিয়ে গিয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ খবর পেয়ে ভোর রাতে নির্যাতন চালানো অবস্থায় অভিযুক্ত ছয়জনকে আটক করে। বর্তমানে নির্যাতনের শিকার ওই নারী টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এ বিষয়ে শনিবার বিকেলে টাঙ্গাইল পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় সংবাদ সম্মেলনে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, শহরের তিনটি স্থানে ওই গৃহবধুকে গনধর্ষণ করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান চালিয়ে ৬ জনকে আটক করে। পরে তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হবে। অপর জড়িতদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বিপি/আর এল
আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন





