বাংলাপ্রেস ডেস্ক: অনেকেই রান্নার সঙ্গে তেজপাতার ব্যবহার করে থাকেন। এটি নতুন কোনো পদ্ধতি নয়। তবে শুধু রান্নার স্বাদ বাড়ানোর জন্যই নয়, তেজপাতা শরীরের জন্যও এক অমূল্য ভেষজ। বিশেষ করে তেজপাতা সিদ্ধ করে তার পানি পান করলে মিলতে পারে অসাধারণ স্বাস্থ্যগুণ।
একদিকে এই পানি ডিটক্স ওয়াটারের কাজ যেমন করে, পাশাপাশি আরো বহু শারীরিক সমস্যা দূর করতে পারে। সকালে খালি পেটে তেজপাতার পানি পান করলে যে উপকার হয় শরীরে, তা নিম্নে আলোচনা করা হলো।
হজমশক্তি বাড়ায়
তেজপাতার পানিতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও এনজাইম হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে। গ্যাস, অম্বল বা হালকা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে নিয়মিত তেজপাতার জল বেশ কার্যকর।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
তেজপাতা ভিটামিন সি, এ এবং খনিজে ভরপুর। ফলে নিয়মিত তেজপাতার পানি পান করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরো বাড়ে। এ ছাড়া ভাইরাল ও ঋতু পরিবর্তনের সময় সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়।
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে
নানা গবেষণায় দেখা গেছে, তেজপাতার নির্যাস রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে।তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে তেজপাতার পানি উপকারী হতে পারে। তবে এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করা উচিত।
ত্বক ও চুলের যত্নে
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ তেজপাতার পানি শরীরকে ডিটক্স করতে সাহায্য করে। ফলে ত্বক থাকে উজ্জ্বল। পাশাপাশি এই পানি দিয়ে চুল ধুলে একদিকে চুল পড়া কমে, সেই সঙ্গে খুশকি নিয়ন্ত্রণে আসে।
স্ট্রেস কমাতে সহায়ক
তেজপাতার সুন্দর গন্ধ মনকে শান্ত করে। এর পানি পান করলে মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে, ঘুমও ভালো হয়।
কিভাবে বানাবেন তেজপাতার পানি
দুই থেকে তিনটি তেজপাতা ভালো করে ধুয়ে এক কাপ পানিতে ফোটাতে হবে। ৫ মিনিট ধরে ফুটিয়ে গরম গরম বা হালকা গরম অবস্থায় পান করতে হবে। এক কাপ তেজপাতার পানি প্রতিদিন রুটিনে রাখলে শরীর ও মনে আসতে পারে এক নতুন সতেজতা।
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]
বিপি>টিডি
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]