১৩ অক্টোবর ২০২৫

তিতা খাওয়া ভালো, তবে যে কারণে হতে পারে বিপদ

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৪২ পিএম
তিতা খাওয়া ভালো, তবে যে কারণে হতে পারে বিপদ
বাংলাপ্রেস ডেস্ক:  করলা বা নিমপাতা, যা-ই হোক না কেন, এগুলো এক রকম ওষুধ। এ কথা জানা থাকলেও অনেকেই এগুলো খেতে চান না। বলা যায়, হাতেগোনা কিছু মানুষ-ই এসব তিতা খেতে পছন্দ করেন। খাবারে তিতার নাম শুনলেই নাক সিঁটকান অনেকে।বিশেষ করে ছোটরা। তাদের তিতা খাওয়ানো তো খুবই কঠিন। বড়দের মধ্যেও অনেকে এগুলো পছন্দ করেন না। এটা জেনেও যে এসবের রয়েছে হাজার গুণ।করলা বা উচ্ছে, কালমেঘ, চিরতা, নিম খেলে রক্ত পরিষ্কার হয়। এর পাশাপাশি ভালো থাকে ত্বক, হজমতন্ত্রও। এগুলো কৃমি দূর করে। তিতায় এসব খাবারে রয়েছে অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল, অ্যান্টিফাঙ্গাল ও অ্যান্টিভাইরাল গুণ।চিরতা ও নিমের পাতায় অ্যান্টি-ক্যান্সার গুণ রয়েছে।
রোগ কেন হয় আয়ুর্বেদ বলছে শরীরের যেকোনো রোগ হয় বাত পিত্ত ও কফের ভারসাম্য বা সমতা বিগড়ে গেলে। যেমন কোনো মানুষের ডায়াবেটিস হয় কফের ভারসাম্য হারিয়ে গেলে। শরীরে কফের অংশে সমতা বজায় রাখে তিতা খাবার। এর মধ্যে রয়েছে কালমেঘ, উচ্ছে, করলা, রস নিমপাতা, নিমের ছাল, চিরতার মতো জিনিস। নিয়ন্ত্রণ সেই কারণে বলা হয় তিতা খেলে রোগীর সুগার অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসে বলে মনে করেন কিছু বিশেষজ্ঞ। অনেক রোগীর ব্লাড সুগার লেভেল কমানো হয়েছে এই তিতা খাবার খাইয়ে। বলা হচ্ছে, তিতা খাবারের কাঁচা রস খাবার সবথেকে ভালো। গোটা না খেলে গোটা না খেয়ে সেটা পিষে তার নির্যাস খাওয়াই সবথেকে বেশি উপকারী। যে মানুষের ব্লাড সুগারের মাত্রা খুব বেশি, তিনি যদি প্রতিদিন ৪০ মিলিমিটার রস খান, তাহলে অনেক উপকার পাবেন। তা সে যেকোনো একটি হোক বা সবকটি।আবার যাদের ব্লাড সুগার লেভেল অনেক বেড়ে গেছে, তারা যদি ২০ মিলিলিটার তিতার রস খান, তাহলে তারা ফল পাবেন বেশ। আর যাদের কোনো রোগবালাই আপাতত নেই, তারাও এই তেতো খেতেই পারেন। কখন খাবেন না কিন্তু একটা জিনিস সবসময় মাথা রাখতে হবে। করলা ইচ্ছেমতো খেলেই হবে না, কিছু বিধিনিষেধও মানতে হবে। টানা তিন মাস খাওয়ার পর তা বন্ধ করে দিতে হবে। ১২ থেকে ১৫ দিনের জন্য একটা বিরতি প্রয়োজন। বাজারের জুস কতটা ভালো তিতা খাবার খাওয়ার পাশাপাশি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বাজারের যে জুস পাওয়া যায়, সেগুলো না খাওয়ার জন্য। কারণ এতে সোডিয়াম বেনজোইট মেশানো থাকে। ফলে তার কার্যকারিতা সামান্য হলেও কমে যাবে। সকালে খালি পেটে সাত-আটটা নিমপাতা খেয়ে একটু পানি খেতে হবে। মেথি ব্লাড সুগার লেভেল কমানোর ক্ষেত্রে খুবই কার্যকরী। দেখা গেছে, ১০ গ্রাম মেথির দানা রাতে আধ কাপ পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে পানি খেলে হবে এবং মেথি দানাগুলো চিবিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যাবে।তবে মর্ডান মেডিসিন কিন্তু এই ফর্মুলা মানছে না। ব্লাড সুগার কমানোর ক্ষেত্রে তিতা খাওয়ার কোনো সম্পর্ক রয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন না। তবে ঘটনা হলো অনেক রোগী আছেন, যারা এগুলো বিশ্বাস করেন। যেমন নিমপাতা খাওয়া বা করলা, কালমেঘের রস খাওয়া। এগুলো খেলে কারো কোনো ক্ষতি নেই। [বাংলা প্রেস বিশ্বব্যাপী মুক্তচিন্তার একটি সংবাদমাধ্যম। স্বাধীনচেতা ব্যক্তিদের জন্য নিরপেক্ষ খবর, বিশ্লেষণ এবং মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজ আগের চেয়ে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।] বিপি>টিডি
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন