ট্রাম্পের চাপের মুখে বোয়িংয়ের ১০৩ টি বিমান কিনছে কোরিয়ান এয়ার
বাংলা প্রেস
প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৪২ পিএম
SHARE
বাংলাপ্রেস ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্যিক চাপের মুখে যুক্তরাষ্ট্রের উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং ও দক্ষিণ কোরিয়ার পতাকাবাহী বিমান সংস্থা কোরিয়ান এয়ারের মধ্যে সোমবার প্রায় ৩৬ বিলিয়ন ডলারের (প্রায় ২৪ বিলিয়ন পাউন্ড) একটি চুক্তি হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, যৌথ চুক্তির আওতায় বোয়িংয়ের ৭৮৭, ৭৭৭ ও ৭৩৭ মডেলের যাত্রীবাহী বিমান কিনবে কোরিয়ান এয়ার।
কোরিয়ান এয়ারের প্রধান নির্বাহী ওয়াল্টার চো জানান, আসিয়ানা এয়ারলাইন্সের সঙ্গে সংযুক্তির প্রস্তুতির সময়ে এই বিমান কেনার সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠানটির বহর আধুনিকীকরণ এবং প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে শক্তি জোগাবে।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ং যুক্তরাষ্ট্র সফরে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের কয়েক ঘণ্টা পরই এই ঘোষণা আসল।
জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্র যে ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে, সেই প্রসঙ্গও আলোচনায় ছিল বলে জানা গেছে।ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দুই দেশের সরকারি প্রতিনিধি ও ব্যবসায়িক নেতারা উপস্থিত ছিলেন। মার্কিন বাণিজ্য সচিব হাওয়ার্ড লুটনিক ও দক্ষিণ কোরিয়ার বাণিজ্যমন্ত্রী কিম জং–কোয়ান ছাড়াও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান স্যামসাং, গাড়ি নির্মাতা হুন্দাই ও মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্ট এনভিডিয়ার প্রধান নির্বাহী জেনসেন হুয়াং অংশ নেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানায়, কোরিয়ান এয়ারের এই অর্ডারের পাশাপাশি আরও কয়েকটি সহযোগিতা চুক্তি হয়েছে।এর মধ্যে স্যামসাংয়ের জাহাজ নির্মাণ শাখা ও যুক্তরাষ্ট্রের ওরেগন–ভিত্তিক ভিগর মেরিন গ্রুপের মধ্যে মার্কিন নৌবাহিনীর রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রমে সহযোগিতা চুক্তিও রয়েছে।
বোয়িংয়ের বাণিজ্যিক উড়োজাহাজ বিভাগের প্রধান স্টেফানি পোপ কোরিয়ান এয়ারের অর্ডারকে ‘একটি ঐতিহাসিক চুক্তি’ বলে উল্লেখ করেন।
চুক্তিতে রয়েছে ৫০টি বোয়িং ৭৩৭-১০ যাত্রীবাহী বিমান, ৪৫টি দীর্ঘপাল্লার উড়োজাহাজ ও ৮টি ৭৭৭-৮ মডেলের কার্গো বিমান। বোয়িং জানিয়েছে, এ অর্ডারের ফলে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ১ লাখ ৩৫ হাজার কর্মসংস্থান তৈরি হবে।
সম্প্রতি শুল্ক কমাতে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির অংশ হিসেবে কয়েকটি দেশ ইতোমধ্যেই উল্লেখযোগ্য বোয়িং অর্ডার দিয়েছে। বোয়িংয়ের কাছ থেকে ২৫টি বিমান কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। এছাড়া, জাপান ১০০টি এবং ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় পতাকাবাহী গারুডা ৫০টি বোয়িং উড়োজাহাজ কেনার ঘোষণা দেয়।
ট্রাম্পের চাপে বোয়িংয়ের বিক্রি বেড়ে ইউরোপীয় প্রতিদ্বন্দ্বী এয়ারবাসকে ছাড়িয়ে গেছে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকেরা।
তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে একের পর এক দুর্ঘটনা ও কারখানায় কর্মীদের দীর্ঘ ধর্মঘটের কারণে বোয়িংকে নানা সংকট পার করতে হয়েছে।২০১৮ ও ২০১৯ সালে দুটি ভয়াবহ দুর্ঘটনায় ৩৪৬ জন নিহত হন। আর ২০২৪ সালে এক বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স বিমানের দরজার একটি অংশ মাঝ আকাশে খুলে গেলে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]বিপি>টিডি
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]
মন্তব্য (0)
আলোচনায় যোগ দিন
আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।