১৪ অক্টোবর ২০২৫

উড়ন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজকে মাটিতে নামাল বাংলাদেশ

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৩৮ পিএম
উড়ন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজকে মাটিতে নামাল বাংলাদেশ

খেলাধুলা ডেস্ক: বাংলাদেশকে শুধু ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গেই নয়, লড়াই করতে হয়েছে আয়ারল্যান্ডের হাড় কাঁপানো শীতের সঙ্গেও। সঙ্গে যোগ হয়েছিল সিরিজের প্রথম ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সও। সব মাথায় রেখেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নামতে হয়েছে বাংলাদেশকে।

ডাবলিনের ক্যাসেল এভিনিউতে টসে জিতে আগে ব্যাট করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। গত ম্যাচে ১৭০ রানের ইনিংস খেলা শাই হোপ আজও খেললেন ১০৯ রানের ইনিংস। আরেক ব্যাটসম্যান রোস্টন চেজ খেলেন ৫১ রানের ইনিংস। এছাড়া বাকিদের কেউই দেখা পাননি বড় ইনিংসের।

ক্যারিবিয় দুই ওপেনারের দুর্দান্ত শুরুর পরও শেষ পর্যন্ত আটকে যায় মাশরাফি-সাকিবদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের কাছে। ৫০ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৯ উইকেটে ২৬১ রান।

মাশরাফি মুর্তজা ১০ ওভারে ৪৯ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। সাকিব আল হাসান ১ উইকেট নিলেও ১০ ওভারে দেন মাত্র ৩৩ রান। এছাড়া সাইফউদ্দিন নেন ২ উইকেট, মেহেদী মিরাজ নেন ১ উইকেট। ১০ ওভার করে সাইফউদ্দিন দেন ৪৭ আর মিরাজ দেন ৩৮ রান। চোট কাটিয়ে দলে ফেরা মুস্তাফিজ ২ উইকেট নিলেও ১০ ওভারে দেন ৮৪ রান।

২৬১ রান তাড়া করার মিশনে বাংলাদেশের দুই ওপেনার তামিম ইকবাল আর সৌম্য সরকারের জুটি অবিচ্ছেদ্য ছিল ১৪৪ রান পর্যন্ত। দুজনেই তুলে নেন অর্ধশতক।

তবে শত রান পর্যন্ত লম্বা করতে পারেননি ইনিংস। রোস্টন চেজকে ছয় হাঁকাতে গিয়ে সৌম্য সাজঘরে ফেরেন ৬৮ বলে ৭৩ রান করে ডোয়াইন ব্রাভোকে ক্যাচ দিয়ে।

এরপর তামিম ইকবালও দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে সাকিবকে নিয়ে এগুচ্ছিলেন ঠিকঠাক। কিন্তু হঠাৎই যেন খেই হারালেন। দলীয় ১৯৬ রানের মাথায় ১১৬ বলে ৮০ রান করে বিদায় নেন তামিম।

পরে সাকিবকে সঙ্গ দেন মুশফিকুর রহিম। মুশফিককে নিয়ে সাকিব পূর্ণ করেন অর্ধশতক। ব্যাটিংয়ে নেমে সাকিবকে কিছুটা অগোছালো দেখা গেলেও সেই সাকিবই দলকে নিয়ে যান জয়ের বন্দরে। সাকিব খেলেন অপরাজিত ৬১ রানের ইনিংস। শেষদিকে মুশফিকের ব্যাটে আসে ২৫ বলে ৩২ রান।

তাতে ২ উইকেট হারিয়ে ৩০ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।

বিপি/কেজে

[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন