বাংলাপ্রেস ডেস্ক: মেয়েদের সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ চ্যাম্পিয়নশিপে ভুটানের চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে ২-০ গোলে হেরে থেমে গেল লাল-সবুজের মেয়েদের টানা পাঁচ ম্যাচের জয়ের ধারা।
ম্যাচের শুরু থেকেই ভারতের আক্রমণের সামনে চাপ সামলাতে ব্যস্ত ছিল বাংলাদেশ। ম্যাচের ১৪ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে বল কেড়ে ড্রিবল করে বাংলাদেশের রক্ষণভাগ ভেদ করেন ভারতের পার্ল ফার্নান্দেস। তার নেওয়া শটে কোনো কিছু করার সুযোগ পাননি গোলরক্ষক ইয়ারজান বেগম।
প্রথমার্ধে পিছিয়ে পড়লেও ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করেছে বাংলাদেশ। কয়েকটি আক্রমণ গড়েও সমতায় ফিরতে পারেনি। সবচেয়ে কাছাকাছি সুযোগ এসেছিল ৩৬ মিনিটে, ফাতেমা আক্তারের কর্নার থেকে হেড লক্ষ্যে রাখতে ব্যর্থ হন আলপি আক্তার।
বিরতির পর সমতা ফেরানো তো দূরের কথা, উল্টো আরও একবার বল তুলতে হয় বাংলাদেশের জালে।৭৬ মিনিটে আলিশার কর্নার থেকে ভলিতে জাল কাঁপান ভারতের বনিপিলা শুলাই। ফলে ২-০ ব্যবধানেই জয় নিশ্চিত করে ভারত।
আগের দিনই সহকারী কোচ আবুল হোসেন বলেছিলেন, ভারতের বিপক্ষে ভুল করতে চায় না বাংলাদেশ। তবে মাঠে এসে ঠিক সেখানেই হয়েছে ভুল।আর কোচ মাহবুবুর রহমানের হাইলাইন ডিফেন্স কৌশলও উঠেছে প্রশ্নের মুখে।
এই হারেই ভাঙল বাংলাদেশের মেয়েদের পাঁচ ম্যাচের জয়ের ধারা। শেষবার ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৪-০ গোলে হেরেছিল তারা। ভারতের বিপক্ষে অবশ্য বাংলাদেশের স্মৃতি ছিল মধুরই। গত বছর সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ টুর্নামেন্টে গ্রুপ পর্বে ভারতকে ৩-১ গোলে হারানোর পর ফাইনালে টাইব্রেকারেও জয় পায় লাল-সবুজের মেয়েরা।
ভারত এ টুর্নামেন্ট শুরু করেছিল নেপালকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে। আর বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচে ভুটানকে হারায় ৩-১ গোলে। দুই ম্যাচ শেষে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে ভারত।
বাংলাদেশের সামনে এখন নেপাল ও ভুটানের ম্যাচ। ২৪ ও ২৭ আগস্ট নেপালের বিপক্ষে মাঠে নামবে তারা, ২৯ আগস্ট খেলবে ভুটানের বিপক্ষে। আর ৩১ আগস্ট আবারও ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ দিয়েই শেষ হবে চার জাতির এই টুর্নামেন্ট।
ডাবল লিগ পদ্ধতিতে হওয়া এই আসরে সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট পাওয়া দলই হবে চ্যাম্পিয়ন। পয়েন্ট সমান হলে আগে দেখা হবে মুখোমুখি ফল, তারপর গোলপার্থক্য।
[বাংলা প্রেস বিশ্বব্যাপী মুক্তচিন্তার একটি সংবাদমাধ্যম। স্বাধীনচেতা ব্যক্তিদের জন্য নিরপেক্ষ খবর, বিশ্লেষণ এবং মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজ আগের চেয়ে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]
বিপি>টিডি
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]