বাংলাপ্রেস ডেস্ক: বয়স ৬০ পার হলে মাঝে-মধ্যে কিছু ভুলে যাওয়া স্বাভাবিক। তবে বয়স যদি ৩০-৪০-এর মধ্যে হয় আর তবুও আপনি প্রায়ই কিছু ভুলে যাচ্ছেন, তাহলে সেটাকে অবহেলা না করে গুরুত্ব দেওয়া দরকার। বর্তমান ব্যস্ত জীবনে মানসিক চাপ, উদ্বেগ, হতাশা—এসব আমাদের প্রতিদিনের সঙ্গী হয়ে উঠেছে। যা অনেক সময় স্মৃতিভ্রংশের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।তবে কিছু পরীক্ষিত উপায় রয়েছে, যা স্মৃতিশক্তি বাড়াতে ও মস্তিষ্ককে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে। যেমন শরীরের জন্য নিয়মিত ব্যায়াম দরকার, তেমনি মস্তিষ্কেরও প্রয়োজন ব্যায়াম। জাপানের সংস্কৃতি থেকে নেওয়া বেশ কিছু পদ্ধতি এই কাজে বেশ কার্যকর। চলুন, জেনে নিই।
সুদোকু
সুদোকু খেলায় প্রতিটি সংখ্যার অবস্থান মাথায় রেখে কাজ করতে হয়। প্রতিদিন একবার এই ধাঁধাটি সমাধান করলে মস্তিষ্কের ভালো ব্যায়াম হয়। স্মৃতিশক্তি বাড়ে, মনোযোগও বৃদ্ধি পায়।
নেমোনিক্স বা গোরেওয়াসে
জাপানে শব্দ ও সংখ্যার একটি সাঙ্কেতিক ভাষা রয়েছে, যাকে বলা হয় ‘নেমোনিক্স’।যেমন, থ্যাঙ্ক ইউ বোঝাতে তারা ব্যবহার করে ৩৯ সংখ্যা। জড়িয়ে ধরা বোঝাতে ৮৯। আপনি চাইলে নিজের মতো করে বন্ধুবান্ধব বা পরিবারের জন্য এমন সঙ্কেত তৈরি করতে পারেন। দিনে একবার সেই ভাষায় কথা বললে তা মজাও হবে, আবার স্মৃতিশক্তিও বাড়বে।
শিনরিন ইয়োকু
প্রকৃতির মাঝে সময় কাটানোর এই জাপানি পদ্ধতির মানে হলো—দিনে অন্তত কিছুটা সময় খোলা বাতাসে, গাছপালায় ঘেরা শান্ত পরিবেশে হাঁটতে যাওয়া।হাঁটার সময় ভাবুন, সারাদিনে কী কী শিখলেন বা গুরুত্বপূর্ণ কাজ করলেন। এটা মস্তিষ্কের জন্য চমৎকার ব্যায়াম।
হিফুমি
জাপানের ‘হিফুমি’ হলো একটি ধ্যানমন্ত্র যা জপ করলে মন শান্ত হয় ও মনঃসংযোগ বাড়ে। গবেষণায় দেখা গেছে, যেকোনো শান্ত ছন্দে মন্ত্র জপ করলে মস্তিষ্কের চাপ কমে, উদ্বেগ কমে। নিয়মিত অভ্যাস করলে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
জানশিন
জানশিন হলো কোনো কাজ, বিশেষ করে পড়াশোনার সময় পূর্ণ মনোযোগ দেওয়া। পড়ার সময় অন্য কিছু করা যাবে না, না গান শোনা, না ফোন দেখা। কিছু পড়ে চোখ বন্ধ করে মনে করার অভ্যাস করুন। নিজেকে প্রশ্ন করুন—আমি কী শিখলাম? মনোযোগ সহকারে পড়াশোনার অভ্যাস নিয়মিত করলে স্মৃতিশক্তি ও মনঃসংযোগ উন্নত হয়।এই সব উপায় একেবারে সহজ ও বাস্তবসম্মত। নিয়ম করে প্রতিদিন ২০-৩০ মিনিট সময় দিলেই মস্তিষ্ক থাকবে সতেজ ও কর্মক্ষম, আর ভুলে যাওয়ার প্রবণতাও অনেক কমে যাবে।
[বাংলা প্রেস বিশ্বব্যাপী মুক্তচিন্তার একটি সংবাদমাধ্যম। স্বাধীনচেতা ব্যক্তিদের জন্য নিরপেক্ষ খবর, বিশ্লেষণ এবং মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজ আগের চেয়ে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]
বিপি>টিডি
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]