১৫ অক্টোবর ২০২৫

ভূমিকম্পে আফগানিস্তানের বহু গ্রাম গুঁড়িয়ে গেছে

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৪২ পিএম
ভূমিকম্পে আফগানিস্তানের বহু গ্রাম গুঁড়িয়ে গেছে
বাংলাপ্রেস ডেস্ক: শক্তিশালী ভূমিকম্পে পুরো তছনছ হয়ে গেছে আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলের গ্রামের পর গ্রাম পুরোপুরি গুঁড়িয়ে গেছে। কেউ কেউ বলেছেন, তাদের গ্রাম এখন প্রায় সমান হয়ে গেছে। কোনও স্থাপনাই আর অক্ষত নেই। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির সাংবাদিক ইয়ামা বারিজ জানান, আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলের যে এলাকা ভূমিকম্পে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে, সেখানে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন তিনি। ছয় মাত্রার ভূমিকম্পে তছনছ হয়ে যাওয়া নাঙ্গারহার এবং কুনার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে। ১২ ঘণ্টা পার হলেও এখনও উদ্ধারকাজ সম্পন্ন হয়নি। এখনও বহু মানুষকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশটির কুনার প্রদেশ। এটি পাহাড় বেষ্টিত অঞ্চল। কিছুদিন আগে অঞ্চলটি ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে সেখানকার সড়কগুলো দুর্গম হয়ে পড়েছে। এখন কুনারে সহায়তা পৌঁছানোর একমাত্র উপায় হেলিকপ্টার। জালালাবাদ সেন্ট্রাল হাসপাতালে আসা প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, অ্যাম্বুলেন্সগুলো এখনও হতাহতদের উদ্ধার কাজে নিয়োজিত রয়েছে। তারা বলেছেন, শত শত আহত মানুষকে ইতোমধ্যেই হাসপাতালে আনা হয়েছে। তাদের সঙ্গে এখনও মৃতদেহ আনা হচ্ছে। কুনার প্রদেশে ইন্টারনেট পরিষেবা সিমীত হওয়ায় সেখানে যোগাযোগ করা বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গ্রামগুলো প্রায় সমান হয়ে গিয়েছে। সেগুলো এখন শুধু ধ্বংসস্তূপ। প্রসঙ্গত, স্থানীয় সময় রবিবার দিবাগত রাত ১১টা ৪৭ মিনিটে ভূমিকম্প হয়। পাকিস্তান সীমান্তের কাছে আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৬। এই দুর্ঘটনায় রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আট শতাধিক মানুষ নিহত এবং তিন হাজারের বেশি আহত হয়েছেন। সূত্র: বিবিসি [বাংলা প্রেস বিশ্বব্যাপী মুক্তচিন্তার একটি সংবাদমাধ্যম। স্বাধীনচেতা ব্যক্তিদের জন্য নিরপেক্ষ খবর, বিশ্লেষণ এবং মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজ আগের চেয়ে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।] বিপি/টিআই
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন