
বাং
লাপ্রেস ডেস্ক: আজ ১৩ জুলাই লামিনে ইয়ামালের ১৮ বছর পূর্ণ হলো। এরই মধ্যে বার্সেলোনা ও স্পেনের এই বিস্ময়বালক ইউরো জিতেছেন, লা লিগা জিতেছেন, চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনাল খেলেছেন, রেকর্ডের পর রেকর্ড গড়ে হয়েছেন ফুটবলের দুনিয়ায় এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় সেনসেশন।
১৮ বছর বয়সে বেশির ভাগ ফুটবলারের পেশাদার ক্যারিয়ারই শুরু হয় না। লামিনে ইয়ামাল অবশ্য বেশির ভাগ ফুটবলারদের মধ্যে পড়েন না। আজ ১৩ জুলাই তাঁর ১৮ বছর পূর্ণ হলো। এরই মধ্যে বার্সেলোনা ও স্পেনের এই বিস্ময়বালক ইউরো জিতেছেন, লা লিগা জিতেছেন, চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনাল খেলেছেন, রেকর্ডের পর রেকর্ড গড়ে হয়েছেন ফুটবলের দুনিয়ায় এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় সেনসেশন।
বিস্ময়কর হলেও এটাই সত্যি—লিওনেল মেসি বা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর মতো কিংবদন্তিরাও ১৮ বছর বয়সে এতটা উজ্জ্বল ছিলেন না। এর মানে এই নয় যে ইয়ামাল নিশ্চিতভাবেই একসময় তাঁদের ছাপিয়ে যাবেন। কিন্তু যদি তিনি এভাবেই উন্নতি করতে থাকেন, তাহলে সেই সম্ভাবনা খুবই খুবই বেশি।
একজন প্রতিভাবান তরুণ থেকে ফুটবলবিশ্বের মহাতারকা হয়ে ওঠার পথে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো বিনয়ী থাকা, মাটিতে পা রাখা এবং নানান প্রলোভন এড়িয়ে চলা। এখন পর্যন্ত ইয়ামাল সেই পথেই আছেন।
১৮তম জন্মদিনে চলুন দেখা যাক, তাঁর ক্যারিয়ারের ১৮টি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত, যা তাঁকে আজকের ইয়ামাল বানিয়েছে।
১. মেসির সংস্পর্শে আসা
একদিন ইয়ামাল মেসির উত্তরসূরি হিসেবে বিবেচিত হবেন, এটা যেন নিয়তির লেখা ছিল। নইলে কি আর পাঁচ মাস বয়সেই ইয়ামাল সুযোগ পেয়ে যান মেসির সংস্পর্শে আসার! ২০০৭ সালে বার্সেলোনা ও ইউনিসেফের একটি দাতব্য ক্যালেন্ডারের জন্য শিশু ইয়ামালকে জুটিবদ্ধ করা হয়েছিল মেসির সঙ্গে। প্রতি মাসে বার্সেলোনার একজন খেলোয়াড়ের সঙ্গে কাতালুনিয়ার একটা শিশুর ছবি তুলে ক্যালেন্ডারের জন্য বাছাই করা হতো। শিশুটিকে নির্বাচিত করা হতো লটারির মাধ্যমে। ওই বছরের ক্যালেন্ডারে জানুয়ারি মাসের ছবিতে দেখা যায়, বার্সায় ক্যারিয়ারের শুরুর দিকের মেসি গোসল করাচ্ছেন ৫ মাস বয়সী ইয়ামালকে। আর ইয়ামালের মা পাশে দাঁড়িয়ে তা দেখছেন। সেই ছবি পরে ভাইরাল হয়ে যায় ২০২৪ ইউরোর সময়। সেই সময় ছবির ফটোগ্রাফার জোন মনফর্ট ইএসপিএনকে বলেন, ‘আগে আমি ভাগ্যে বিশ্বাস করতাম না, কিন্তু এখন করি।’
২. ‘৩০৪’ নম্বরের প্রতি ভালোবাসা
প্রতিবার গোল করে হাতের আঙুল দিয়ে বাতাসে ৩০৪ নম্বর একেঁ উদ্যাপন করেন ইয়ামাল। এটি আসলে তাঁর জন্মস্থান রোকাফোন্ডা (বার্সেলোনার উত্তরেই মাতারো শহরের একটি এলাকা) এর পোস্টাল কোডের শেষ তিন অঙ্ক। সেই শহরের দেয়ালে দেয়ালে এখন ৩০৪ নম্বর লেখা। ইয়ামাল শুধু তাঁর শহরকে আলোচনায় আনেননি, হয়ে উঠেছেন তাঁর মতো অভিবাসীদের জন্য বড় এক প্রেরণাও। অভিবাসীদের পরবর্তী প্রজন্ম দেখছে, সীমা ডিঙিয়ে কী করা সম্ভব!
১. মেসির সংস্পর্শে আসা
একদিন ইয়ামাল মেসির উত্তরসূরি হিসেবে বিবেচিত হবেন, এটা যেন নিয়তির লেখা ছিল। নইলে কি আর পাঁচ মাস বয়সেই ইয়ামাল সুযোগ পেয়ে যান মেসির সংস্পর্শে আসার! ২০০৭ সালে বার্সেলোনা ও ইউনিসেফের একটি দাতব্য ক্যালেন্ডারের জন্য শিশু ইয়ামালকে জুটিবদ্ধ করা হয়েছিল মেসির সঙ্গে। প্রতি মাসে বার্সেলোনার একজন খেলোয়াড়ের সঙ্গে কাতালুনিয়ার একটা শিশুর ছবি তুলে ক্যালেন্ডারের জন্য বাছাই করা হতো। শিশুটিকে নির্বাচিত করা হতো লটারির মাধ্যমে। ওই বছরের ক্যালেন্ডারে জানুয়ারি মাসের ছবিতে দেখা যায়, বার্সায় ক্যারিয়ারের শুরুর দিকের মেসি গোসল করাচ্ছেন ৫ মাস বয়সী ইয়ামালকে। আর ইয়ামালের মা পাশে দাঁড়িয়ে তা দেখছেন। সেই ছবি পরে ভাইরাল হয়ে যায় ২০২৪ ইউরোর সময়। সেই সময় ছবির ফটোগ্রাফার জোন মনফর্ট ইএসপিএনকে বলেন, ‘আগে আমি ভাগ্যে বিশ্বাস করতাম না, কিন্তু এখন করি।’
২. ‘৩০৪’ নম্বরের প্রতি ভালোবাসা
প্রতিবার গোল করে হাতের আঙুল দিয়ে বাতাসে ৩০৪ নম্বর একেঁ উদ্যাপন করেন ইয়ামাল। এটি আসলে তাঁর জন্মস্থান রোকাফোন্ডা (বার্সেলোনার উত্তরেই মাতারো শহরের একটি এলাকা) এর পোস্টাল কোডের শেষ তিন অঙ্ক। সেই শহরের দেয়ালে দেয়ালে এখন ৩০৪ নম্বর লেখা। ইয়ামাল শুধু তাঁর শহরকে আলোচনায় আনেননি, হয়ে উঠেছেন তাঁর মতো অভিবাসীদের জন্য বড় এক প্রেরণাও। অভিবাসীদের পরবর্তী প্রজন্ম দেখছে, সীমা ডিঙিয়ে কী করা সম্ভব!
৩. তিন পতাকায় শিকড়কে মনে রাখা
বার্সার হয়ে অভিষেক হওয়ার পর থেকে ইয়ামালের বুটে প্রায়ই মরক্কো, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি এবং স্পেনের পতাকা দেখা যায়। তাঁর বাবা মুনির মরক্কোর এবং মা শেইলা ইকুয়েটোরিয়াল গিনির, তাঁর জন্ম স্পেনে। তিনটি শিকড়ই কখনো ভোলেননি ইয়ামাল। চাচাতো ভাই মোহাম্মদের সঙ্গেও তিনি খুব ঘনিষ্ঠ। মোহাম্মদ এখন তাঁর গাড়িচালক ও ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে কাজ করেন। তাঁর দাদি ফাতিমা এখনো রোকাফোন্ডায় থাকেন, ইয়ামাল নিয়মিত খোঁজখবর নেন তাঁর। এ বছরের শুরুতে ইএসপিএনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ইয়ামাল বলেছিলেন, ‘আমার মা-বাবার খুশি দেখার মতো আনন্দদায়ক কিছু আমার জীবনে আর নেই। দাদি যখন ফোন করে বলেন, তিনি কতটা ভালো আছেন, আমার কাছে সেটা অমূল্য মনে হয়।’
৪. বার্সেলোনার বাজি
২০১৪ সালে সি এফ লা তোরেতা থেকে ইয়ামালকে বার্সেলোনা নিয়ে গিয়েছিল শুধু একটা প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে—সেখানকার স্থানীয় একটি টুর্নামেন্টে বার্সা তাদের যুবদল পাঠাবে! বার্সা একাডেমির তখনকার পরিচালক জর্দি রৌরা পরে বলেন, ‘ওকে (ইয়ামাল) দেখে আমাদের মনে হয়েছিল, তার ওপর বাজি ধরা যায়।’
৫. বার্সেলোনার মূল দলে অভিষেক
২৯ এপ্রিল ২০২৩। রিয়াল বেতিসের বিপক্ষে ম্যাচের ৮৩ মিনিটে ডাগআউটের ইলেকট্রনিক বোর্ডে দেখা গেল ৩০: ৪১। মানে ৩০ নম্বর জার্সির খেলোয়াড় গাভি মাঠের বাইরে চলে যাবেন, ঢুকবেন ৪১ নম্বর খেলোয়াড়—ইয়ামাল! ১৫ বছর ৯ মাস ১৬ দিন বয়সেই ইয়ামালের বার্সেলোনা মূল দলে অভিষেক হয়েছিল তখনকার কোচ জাভি হার্নান্দেজের অধীনে। ক্যাম্প ন্যুতে এখন পর্যন্ত ওই একটি ম্যাচই খেলার সুযোগ পেয়েছেন ইয়ামাল। কারণ, এর পরই স্টেডিয়াম সংস্কারের কাজ শুরু হয়ে যায়।
৬. রেকর্ডের পর রেকর্ড
লা লিগায় বার্সার সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হওয়ার পর ইয়ামাল একের পর এক রেকর্ড ভাঙতেই থাকেন। লা লিগায় গোল করা সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড়, স্পেনের হয়ে সবচেয়ে কম বয়সে অভিষেক, সবচেয়ে কম বয়সে গোল, ইউরোতে সবচেয়ে কম বয়সে গোল, ইউরো ফাইনালে খেলা সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড়, ক্লাসিকোতে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে গোল করা সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড়, বার্সার হয়ে ১০০টি ম্যাচ খেলা সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড়, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে গোল করা সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড়...এবং আরও অনেক!
৭. মেসির সঙ্গে তুলনা
বার্সার হয়ে অভিষেকের পর কিছুদিন ডান উইংয়ে খেলার জন্য ইয়ামালকে রাফিনিয়া ও উসমান দেম্বেলের সঙ্গে প্রতিদ্বন্তিতা করতে হয়েছে। পরে দেম্বেলে পিএসজিতে চলে যাওয়ায় এবং হেতাফের বিপক্ষে রাফিনিয়া লাল কার্ড পাওয়ার পর জাভি তাঁকে ডান উইংয়ে খেলানো শুরু করেন। এরপর তাঁকে সেখান থেকে সরানো অসম্ভব হয়ে পড়ে। আর ডান দিক থেকে বাঁ পায়ে খেলা, গোল, অ্যাসিস্ট—মেসির সঙ্গে তুলনা অবধারিতভাবে চলেই আসে। এমনকি কোচ জাভিও বলে দেন, ‘মেসির ঝলক পাওয়া যায় ওর মধ্যে।’
৮. ফ্রান্সের বিপক্ষে সেই গোল
২০২৪ ইউরোর সেমিফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে স্পেনের জয়ে এক দারুণ গোল করে ইয়ামাল বিশ্বমঞ্চে নিজের আগমনী বার্তা ঘোষণা করেন। দূরের কোণে বাঁ পায়ে নেওয়া বাঁকানো শট! ম্যাচের আগে ফ্রান্সের মিডফিল্ডার আন্দ্রিয়াঁ রাবিওঁ বলেছিলেন, নিজেকে প্রমাণ করার জন্য ইয়ামালের আরও অনেক কিছু করতে হবে। ইয়ামাল ম্যাচের আগে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে জবাব দেন—‘নীরবে কাজ করো। শুধু চেকমেট বলার সময় কথা বলো।’ ম্যাচ শেষে ফ্রান্সকে ইউরো থেকে ছিটকে দেওয়ার পর ইয়ামাল ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে রাবিওঁকে ইঙ্গিত করে বলেন—‘এখন কথা বলো।’ এরপর সোশ্যাল মিডিয়ায় একটাই শব্দ লেখেন—‘চেকমেট!’
৯. ইউরো জয়
ইয়ামালের ১৭তম জন্মদিনের পরদিন ফাইনালে ইংল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারিয়ে ইউরো জেতে স্পেন। নকআউট পর্বে প্রতিটি ম্যাচেই ইয়ামাল গোল বা অ্যাসিস্ট করেন। জেতেন টুর্নামেন্টের সেরা তরুণ খেলোয়াড়ের পুরস্কার।
১০. নতুন অস্ত্র: ট্রিভেলা পাস
গত ডিসেম্বরে মায়োর্কার বিপক্ষে রাফিনিয়ার গোলে ‘ট্রিভেলা’ পাস (বুটের বাইরের অংশ দিয়ে পাস) দিয়ে আলোচনায় চলে আসেন ইয়ামাল। আগেও টুকটাক এই কাজটা করার চেষ্টা করেছেন। তবে ২০২৪ ইউরোর পর বার্সা কোচ হানসি ফ্লিকের অধীনে ইয়ামাল নিজেকে শাণিয়ে এই পাসের মাস্টার হয়ে ওঠেন। এমনকি ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে এক ম্যাচে রাফিনিয়াকে ৪০ গজ দূর থেকেও ট্রিভেলা পাস দিয়েছেন ইয়ামাল।
১১. পুরস্কারের বন্যা
এরই মধ্যে গোল্ডেন বয় ও কোপা ট্রফি (২১ বছরের নিচে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার) জিতেছেন, গত বছর ব্যালন ডি’অরের তালিকায় ছিলেন অষ্টম স্থানে। ইউরোর সেরা উদীয়মান হওয়ার কথা তো আগেই বলা হয়েছে।
১২. ব্র্যান্ডিংয়ের রাজা
গত অক্টোবরে মাদ্রিদে ৪-০ গোলের এল ক্লাসিকো জয়ের ম্যাচে ইয়ামাল মাঠে নামেন বিশেষভাবে বানানো বার্সা ব্রেসেস (দাঁতের বন্ধনী) পরে। এরপর অ্যাডিডাস থেকে বিটসের মতো ব্র্যান্ডগুলো তাঁর জন্য ব্রেস বানাতে আগ্রহী হয়ে ওঠে। র্যাপার ট্রাভিস স্কট ইনস্টাগ্রামে বার্সেলোনার শুধু একজন খেলোয়াড়কেই অনুসরণ করেন—ইয়ামাল! ইয়ামালের ইনস্টাগ্রাম কনটেন্ট খুব সাদামাটা, প্রোফাইলে ভক্তের আঁকা ছবি, সবই তাঁকে অন্যদের চেয়ে আলাদা করে দেয়। এর ফলে তিনি হয়ে উঠেছেন সোশ্যাল মিডিয়াতে তরুণদের নায়ক।
১৩. চ্যাম্পিয়নস লিগ ক্লাসিক
চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালে ইন্টার মিলানের বিপক্ষে প্রথম লেগে ২-০ গোলে পিছিয়ে ৩-৩ ড্র করেছিল বার্সা, সেটা ছিল ইয়ামালের জাদুতে। ম্যাচের পর ইন্টার কোচ সিমোন ইনজাগি বলেছিলেন, ‘এমন প্রতিভা ৫০ বছরে একবার আসে।’ ফ্রান্সের বিপক্ষে গোলটা যদি তাঁকে বিশ্বব্যাপী পরিচিত করিয়ে থাকে, ইন্টারের বিপক্ষে পারফরম্যান্স তাঁকে নিয়ে যায় অন্য স্তরে। বার্সা শেষ পর্যন্ত দুই লেগ মিলিয়ে ৭-৬ গোলে হেরে গেলেও ইয়ামাল বড় মঞ্চে আরও একবার নিজের জাত চিনিয়ে যান।
১৪. রাজকীয় প্রশংসা
স্পেনের রাজা ফিলিপ প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারেননি যে ইউরোতে দুর্দান্ত খেলা এই ছেলেটির বয়স মাত্র ১৬! এক বছর পর বার্সা কোপা দেল রে জেতার পর ইয়ামালের সঙ্গে আবার দেখা হয় তাঁর। এবার ইয়ামাল যান চোখে দুইটা সানগ্লাস পরে! রাজা বুঝে যান, এই ছেলে মাঠে যতই খেল দেখাক, আসলে ওর বয়স বাড়েনি।
১৫. নতুন চুক্তি, নতুন নম্বর
এসবের পর কি আর বার্সা তাঁকে নতুন চুক্তি না দিয়ে পারে! ইয়ামালের বয়স যখন ১৭, ২০২২-২৩ মৌসুমে বার্সেলোনার হয়ে তাঁর ৫৫ ম্যাচে ১৮ গোল এবং ২৫টি গোলে সহায়তা। বার্সার লা লিগা, কোপা দেল রে ও স্প্যানিশ সুপারকোপা জয়ে তাঁর বড় ভূমিকা। এরপর নতুন চুক্তি ২০৩১ পর্যন্ত, আর জার্সিতে ‘১৯’–এর বদলে ‘১০’ নম্বর। মেসি যেন বার্সায় ফিরলেন ইয়ামাল–রূপে!
১৬. ব্যালন ডি’অরের দাবিদার
গত জুনে ফ্রান্সের বিপক্ষে ৫-৪ গোলে উয়েফা নেশনস লিগের সেমিফাইনাল জয়ের পর স্পেন কোচ লুইস দে লা ফুয়েন্তে বলে দেন, ‘ব্যালন ডি’অর এখনই ওর প্রাপ্য।’ এ বছর না হলেও ইয়ামালের হাতে ব্যালন ডি’অর দেখার অপেক্ষা খুব দীর্ঘ হওয়ার কথা নয়।
১৭. নেইমারের সঙ্গে ছুটি
মেসির সঙ্গে তুলনা হলেও ইয়ামালের আদর্শ ছিলেন নেইমার। গোল উদ্যাপন, হেয়ারস্টাইল—সবই নেইমার-অনুপ্রাণিত। এই গ্রীষ্মে ছুটিও কাটিয়েছেন নেইমারের সঙ্গে ব্রাজিলে, ফুট-ভলিও খেলেছেন একসঙ্গে।
১৮. সেরাদের চেয়েও এগিয়ে
১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই ১২৭ ম্যাচ, ২৫ গোল, অসংখ্য ট্রফি। ব্রাজিলিয়ান ক্লাব সান্তোসের হয়ে ঝলসে ওঠা নেইমারেরও তাঁর ১৮তম জন্মদিনের আগে ছিল মাত্র ১৯টি গোল। আর্লিং হলান্ড (১২), কিলিয়ান এমবাপ্পে (৭), ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো (৫) ও মেসি (১)—ওই বয়সে ইয়ামালের ধারেকাছেও ছিলেন না। ২০২৬ সালের মধ্যে বার্সেলোনার হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ ও স্পেনের হয়ে বিশ্বকাপ জেতার হাতছানি। দুটোই যদি হয়ে যায়, ১৯ বছর বয়সেই ইয়ামাল ফুটবল থেকে সব পেয়ে যাবেন!
[
বাংলা প্রেস বিশ্বব্যাপী মুক্তচিন্তার একটি সংবাদমাধ্যম। স্বাধীনচেতা ব্যক্তিদের জন্য নিরপেক্ষ খবর, বিশ্লেষণ এবং মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজ আগের চেয়ে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]
বিপি > এস পি
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]