১৩ অক্টোবর ২০২৫

যে সবজির রসে কমবে ওজন, বশে থাকবে থাকবে প্রেশার-সুগার

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৪২ পিএম
যে সবজির রসে কমবে ওজন, বশে থাকবে থাকবে প্রেশার-সুগার
বাংলাপ্রেস ডেস্ক:  সুস্থতার জন্য খাদ্যাভ্যাসে চাই কিছু পরিবর্তন। তারই সঙ্গে ডায়েটে লাউয়ের রস রাখলে উপকার পাবেন হাতেনাতে। শরীরের যেকোনো সমস্যার সমাধান করতে পারে লাউ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়মিত লাউয়ের রস পান করলে শরীর যেমন সতেজ থাকে, তেমনি নানা রোগ প্রতিরোধেও এটি কার্যকর ভূমিকা রাখে। পুষ্টিতে ভরপুর লাউয়ে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, সেলেনিয়াম, ফসফরাস, জিঙ্ক, ম্যাঙ্গানিজ, কপার, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৩, ভিটামিন বি২, ভিটামিন বি৯, ভিটামিন বি৬ সহ নানা উপকারী উপাদান। লাউয়ের রস আমাদের শরীরে কী কী উপকার করে জেনে নিন— ওজন কমাতে সহায়ক : লাউয়ের রসে ক্যালরি প্রায় নেই বললেই চলে। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা শরীরকে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে। ফলে অকারণে বারবার খিদে পায় না।যারা ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছেন, তাদের জন্য লাউয়ের জুস হতে পারে এক প্রাকৃতিক সমাধান। কোলেস্টেরল কমায় : হার্টের সমস্যার একটি বড় কারণ ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, লাউয়ের রস এই খারাপ কোলেস্টেরলকে বশে আনতে পারে। এই পানীয়ে রয়েছে অত্যন্ত উপকারী কিছু ফাইটো কেমিক্যালস।আর এসব উপাদান কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সিদ্ধহস্ত। তাই কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত খেতে পারেন লাউয়ের রস। হৃদপিণ্ডের যত্ন নেয় : লাউয়ে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। নিয়মিত লাউয়ের জুস খেলে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা কিছুটা হলেও কমতে পারে। এতে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে এবং হৃদপিণ্ড থাকে সুস্থ। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে : ব্লাডসুগার বেড়ে গেলে প্রথমেই লাউয়ের জুসের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে পারেন। কারণ, একাধিক উপকারী অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট রয়েছে এই পানীয়তে, যা ব্লাড সুগারকে বশে রাখার কাজে একাই একশ। হজমশক্তি বাড়ায় : অম্বল, গ্যাস বা কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগলে লাউয়ের জুস হতে পারে বেশ উপকারী। এটি হজম প্রক্রিয়া বাড়ায় এবং অন্ত্র পরিষ্কার রাখে। ফলে খাবার সহজে হজম হয় এবং পেট থাকে স্বস্তিতে। ত্বক উজ্জ্বল করে : লাউয়ের জুস শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বের করে দিতে সহায়তা করে। এর ফলে ত্বকে স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ফিরে আসে, ত্বক হয় মসৃণ ও সতেজ। যারা ব্রণ বা দাগছোপের সমস্যায় ভোগেন, তাদের জন্যও এটি কার্যকর। শরীর ঠাণ্ডা রাখে : গরমকালে লাউয়ের জুস একপ্রকার প্রাকৃতিক ‘কুলিং ড্রিঙ্ক’। এটি শরীরকে ভেতর থেকে ঠাণ্ডা রাখে এবং পানিশূন্যতার ঝুঁকি কমায়। ফলে গ্রীষ্মের দাবদাহে শরীর থাকে হাইড্রেটেড ও সক্রিয়। কখন খাওয়া উচিত লাউয়ের জুস খাওয়ার সবচেয়ে উপযুক্ত সময় হলো সকাল বেলা। খালি পেটে এটি পান করলে পাচন প্রক্রিয়া উন্নত হয় এবং সারা দিন শরীর থাকে হালকা ও সতেজ। অনেকে রাতে ঘুমানোর আগে লাউয়ের রস খেয়ে থাকেন। এটি শরীরকে আরাম দেয় এবং ঘুমের মান ভালো রাখতে সহায়তা করে।পুষ্টিবিদরা গরমের দিনে লাউ আর করলা দিয়ে ডাল খাওয়ার পরামর্শ দেন। এতে শরীর ঠাণ্ডা থাকে। এসিডিটির সমস্যাও কমে। স্যুপ কিংবা সালাদ হিসেবেও লাউ ব্যবহার করতে পারেন। তবে সকলের শরীরের জন্য সবকিছু ঠিক নাও হতে পারে। সেক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে খান। [বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।] বিপি>টিডি
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন