বাংলাপ্রেস ডেস্ক: মাথা ব্যথা, পেটের ব্যথা, হাঁচি-কাশি কিংবা গ্যাস্ট্রিক—এই সব সাধারণ সমস্যা অনেকেরই প্রায় সারা বছর লেগে থাকে। বেশিরভাগ সময় ওষুধেই তা সাময়িকভাবে নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে নিয়মে সামান্য ভুল হলেই আবার অসুস্থতা ফিরে আসে। বারবার এই সমস্যার মোকাবেলা করা বেশ কষ্টকর।তাই ওষুধের ওপর পুরোপুরি নির্ভর না করে প্রতিদিনের রুটিনে কিছু স্বাস্থ্যকর অভ্যাস যোগ করলেই অনেক রোগবালাই দূরে রাখা সম্ভব। শুধু সময়মতো খাওয়াদাওয়া বা পর্যাপ্ত ঘুমই নয়, আরো কিছু উপায় আছে যা শরীরকে দীর্ঘদিন রাখবে সতেজ ও সুস্থ। চলুন, জেনে নিই।
নিয়মিত হাঁটা
চিকিৎসকরা বারবার বলেন, সুস্থ থাকার অন্যতম সহজ উপায় হল হাঁটা।নিয়মিত হাঁটলে রক্তসঞ্চালন ভালো হয়, হজমের গণ্ডগোল কমে, ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। ভারী খাওয়ার পর কিছুটা হাঁটাহাঁটি হজমে সাহায্য করে এবং শরীরে ব্যায়ামের কাজ করে। প্রতিদিন অন্তত ১৫ মিনিট হাঁটার অভ্যাস করলে উপকার পাবেনই।
শ্বাসের ব্যায়াম
প্রতিদিন কয়েক মিনিট শ্বাসের ব্যায়াম করলে শরীর ও মন দুটোই ভালো থাকে।
এতে ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়ে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জোরদার হয়। শ্বাসের ব্যায়াম করার জন্য আরামদায়ক ভঙ্গিতে পা মুড়ে বসুন, শিরদাঁড়া সোজা রাখুন এবং নাক দিয়ে ধীরে শ্বাস নিয়ে আবার ধীরে ছাড়ুন। মাত্র ১০ মিনিট এই অনুশীলন করলেই মানসিক চাপ কমবে, মনঃসংযোগ বাড়বে এবং শরীর আরও সক্রিয় থাকবে।ঘুমানোর আগে চা-কফি নয়
রাতের খাবার যেন ৯টার মধ্যে খাওয়া হয়, এই অভ্যাস হজম ভালো রাখতে সাহায্য করে। অনেকেই খাবার পর কফি পান করেন বা কাজের ফাঁকে ঘন ঘন চা-কফিতে ভরসা রাখেন।
তবে রাতে অতিরিক্ত ক্যাফেইন শরীরের স্বাভাবিক ছন্দ নষ্ট করে দিতে পারে। ঘুমে ব্যাঘাত ঘটায়, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা তৈরি করে এবং পরোক্ষভাবে আরো অনেক অসুস্থতার ঝুঁকি বাড়ায়।প্রতিদিন একটু সময় নিজের শরীরের জন্য বের করে নিয়ম মেনে চললে, ছোটখাটো অসুস্থতা সহজেই এড়ানো যায়। ওষুধের বদলে সচেতন অভ্যাসই হোক দীর্ঘস্থায়ী সুস্থতার চাবিকাঠি।
[বাংলা প্রেস বিশ্বব্যাপী মুক্তচিন্তার একটি সংবাদমাধ্যম। স্বাধীনচেতা ব্যক্তিদের জন্য নিরপেক্ষ খবর, বিশ্লেষণ এবং মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজ আগের চেয়ে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]