১৩ অক্টোবর ২০২৫

যেসব ভিটামিনের অভাবে হতে পারে ঘুমের সমস্যা

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৪২ পিএম
যেসব ভিটামিনের অভাবে হতে পারে ঘুমের সমস্যা
বাংলাপ্রেস ডেস্ক:  ঘুম ঠিক না হলে আমরা মানসিক চাপ, ক্যাফেইন বা মোবাইল স্ক্রিনকে দায়ী করি। কিন্তু জানেন কি, আপনার খাওয়া-দাওয়া বা শরীরে কিছু ভিটামিনের ঘাটতি থাকলেও ঘুমের সমস্যা হতে পারে? বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীরে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন ও খনিজের ঘাটতি হলে ঘুম নিয়ন্ত্রণকারী হরমোন ও নিউরোট্রান্সমিটার সঠিকভাবে কাজ করে না। এর ফলে অনিদ্রা, ঘন ঘন ঘুম ভাঙা, কিংবা ক্লান্তি দেখা দিতে পারে। চলুন, জেনে নিই কোন ভিটামিন কিভাবে ঘুমের ওপর প্রভাব ফেলে। ভিটামিন ডি – শরীরের ঘড়িকে ঠিক রাখে শুধু হাড় নয়, ভিটামিন ডি ঘুম-জাগরণ চক্র (সার্কাডিয়ান রিদম) ঠিক রাখতে সাহায্য করে। এর অভাবে ঘুম কম হয়, মাঝরাতে ঘুম ভেঙে যায়, দিনে ঘুম পায় বেশি। এমনকি ঘুমে শ্বাসকষ্ট বা স্লিপ অ্যাপনিয়া হতে পারে। তাই প্রতিদিন ১৫-২০ মিনিট রোদে থাকুন, ডিম, মাছ (স্যামন), ফোর্টিফাইড দুধ খান।প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শে সাপ্লিমেন্ট নিন। ভিটামিন বি – ঘুমের হরমোন বানায় বি-৬, বি-১২ ও ফোলেট (বি-৯) ঘুমের হরমোন মেলাটোনিন তৈরিতে সাহায্য করে। এর অভাবে ঘুম কম হয়, রাতে স্বপ্ন বেশি হয়, আর দিনে ঝিমুনি আসে। তাই প্রতিদিন ডাল, শাকসবজি, ডিম, মাছ, গোটা শস্য খান।আপনি যদি নিরামিষাশী হন, তাহলে বি-১২ সাপ্লিমেন্ট খেতে হতে পারে। ভিটামিন সি – স্ট্রেস কমায়, ঘুম বাড়ায় ভিটামিন সি শুধু রোগ প্রতিরোধ নয়, স্ট্রেস কমিয়ে ঘুমের মান বাড়ায়। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত ভিটামিন সি খান, তাদের ঘুমের সমস্যা কম হয়। কমলালেবুর পাশাপাশি খেতে পারেন মরিচ, স্ট্রবেরি, কিউই, ব্রকলি। ভিটামিন ই – মস্তিষ্ককে শান্ত রাখে ভিটামিন ই মস্তিষ্কের কোষ রক্ষা করে এবং হরমোনের ভারসাম্য ঠিক রাখে।এর ঘাটতি থাকলে স্লিপ অ্যাপনিয়ার সমস্যা বাড়তে পারে। বাদাম, বীজ, জলপাই তেল ব্যবহার করুন। ম্যাগনেসিয়াম – ঘুমের খনিজ যদিও এটা ভিটামিন নয়, তবে ঘুমের জন্য খুবই দরকারি। এটি মস্তিষ্ককে শান্ত করে, নার্ভ সিস্টেমকে রিল্যাক্স করে। এর অভাবে অনিদ্রা, উদ্বেগ, এবং রাতে পেশির খিঁচুনি হতে পারে। পালং শাক, কুমড়ার বীজ, ডার্ক চকোলেট, গোটা শস্য খাওয়া ভালো। সাপ্লিমেন্ট নেয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। যদি নিয়ম মেনে ঘুমানোর চেষ্টা করেও ঠিকভাবে ঘুম না হয়, তাহলে ভিটামিন ডি, বি-১২, ফোলেট ও ম্যাগনেসিয়ামের মাত্রা পরীক্ষা করে দেখা উচিত। এই ঘাটতি দূর হলে ঘুমের সমস্যাও অনেকটাই কমে যেতে পারে। ভালো ঘুমের জন্য শুধু অন্ধকার ঘর আর ভালো বালিশই যথেষ্ট নয়। সঠিক ভিটামিন ও খনিজ শরীরে থাকলে আপনি সহজে ঘুমাবেন, গভীর ঘুম পাবেন, আর সকালে উঠে নিজেকে সতেজ অনুভব করবেন। [বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।] বিপি>টিডি
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন