১৪ অক্টোবর ২০২৫

যেভাবে ফিরবে আপনার সন্তানের স্মার্টফোন আসক্তি

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৩৭ পিএম
যেভাবে ফিরবে আপনার সন্তানের স্মার্টফোন আসক্তি

বাংলাপ্রেস অনলাইন: সোশ্যাল সাইট, হরেকরকম অ্যাপসের চক্করে স্মার্টফোন থেকে দূরেই থাকতে পারি না আমরা৷ এ তো নয় গেল, বড়দের কথা৷ কিন্তু ছোটদেরও আজকাল স্মার্টফোন থেকে দূরে রাখা যায় না৷ তারাও সমানভাবেই স্মার্টফোনই নিয়ে ব্যস্ত থাকতে ভালোবাসে৷ টিভির পরিবর্তে ইউটিউবেই আজকাল কার্টুন দেখে তারা৷ চিকিৎসকদের মতে, এই প্রবণতা থেকে একাধিক রোগও মাথাচাড়া দিচ্ছে শিশু শরীরে৷ খেলাধুলো না করে স্মার্টফোন ব্যবহারের ফলে আচমকা মোটা হয়ে যাচ্ছে খুদেরা৷ এছাড়া চোখ শুষ্ক হয়ে যাওয়া, মাথা যন্ত্রণা, দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যাও দেখা দিচ্ছে তাদের৷ এই সমস্যাগুলি থেকে মুক্তি দিতে তাই স্মার্টফোন থেকে শিশুদের দূরে রাখারই পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা৷

শিশুদের বই, খেলাধুলা নিয়ে ব্যস্ত থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা৷ তাঁদের মতে, শিশুকে সারাদিনে এক-দু’ঘণ্টার বেশি স্মার্টফোন ব্যবহার করতে না দেওয়াই ভাল৷ ২০ মিনিট স্মার্টফোন ব্যবহারের পর শিশুদের কুড়ি সেকেন্ড চোখের পাতা খোলা ও বন্ধ করারও পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা৷ ছোট থেকেই দীর্ঘক্ষণ স্মার্টফোন ব্যবহারের জেরে অন্ধত্বের মতো গুরুতর কোনও সমস্যাও দেখা দিতে পারে বলেই মত চিকিৎসকদের৷ চিকিৎসকদের মতে, জোর করে নয়, শিশুকে বুঝিয়ে স্মার্টফোন ব্যবহার থেকে বিরত রাখুন৷ স্মার্টফোন ব্যবহার ভাল মন্দগুলি ভাল করে বুঝিয়ে বলুন শিশুকে৷ বোঝান যে ভবিষ্যতে চোখের সুস্থতার জন্য বর্তমানে স্মার্টফোন ব্যবহার কম করাই ভাল৷ এরপর দেখবেন নিজে নিজেই স্মার্টফোন থেকে দূরে সরে গিয়েছে আপনার বাড়ির দস্যি৷

চিকিৎসকদের মতে, শিশুকে একা থাকতে দেখবেন না৷ সময় পেলে বিকালে তাকে নিয়ে খেলতে বেরোন৷ ঘুমের উপর সবচেয়ে প্রভাব ফেলে আপনার স্মার্টফোন৷ তাই শোয়ার ঘরে তা না রাখাই ভাল৷ বরং ঘুমোতে যাওয়ার আগে খুদের সঙ্গে গল্প করুন৷ রূপকথার কাহিনি বা তার স্কুলে বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে আলোচনা করুন দুজনে৷ তাহলে দেখবেন দিব্যি স্মার্টফোন ভুলে, আপনার সঙ্গে গল্প করতেই ব্যস্ত রয়েছে সে৷

বাংলাপ্রেস/আর এল

[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন