১৪ অক্টোবর ২০২৫

যক্ষ্মা শুধু ফুসফুস নয়, আক্রান্ত করতে পারে দেহের যেকোনো অঙ্গে

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৪২ পিএম
যক্ষ্মা শুধু ফুসফুস নয়, আক্রান্ত করতে পারে দেহের যেকোনো অঙ্গে
বাংলাপ্রেস ডেস্ক:  চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, যক্ষ্মার জীবাণু শুধু ফুসফুসে নয়, মস্তিষ্ক, ত্বক, অন্ত্র, লিভার, কিডনি, হাড়সহ শরীরের যেকোনো অংশে সংক্রমণ ঘটাতে পারে। এমডিআরটি (মাল্টি ড্রাগ রেজিসটেন্স টিউবারকুলোসিস) বিশেষজ্ঞ ডা. মাহমুদুল হাসান খান বলেন, ফুসফুসে যক্ষ্মা বেশি দেখা যায় বলে অনেকে মনে করেন যক্ষ্মা মানেই কেবল ফুসফুসের রোগ। আসলে তা নয়। তিনি জানান, যক্ষ্মার জীবাণু (মাইকোব্যাক্টেরিয়াম টিউবারকুলোসিস) বাতাসের মাধ্যমে ছড়ায় এবং দেহের যেকোনো অঙ্গ আক্রান্ত করতে পারে। কারা বেশি ঝুঁকিতে? যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, ডায়াবেটিক রোগীরা, অপুষ্টিতে ভোগা বা মাদকাসক্ত ব্যক্তিরা, দূষণ ও দরিদ্রতাও ঝুঁকি বাড়ায় শরীরে যক্ষ্মার জীবাণু থাকা মানেই রোগ হবে না। কিন্তু ওই ব্যক্তি অন্যকে সংক্রমিত করতে পারে। শরীরের অন্য অংশে যক্ষ্মার লক্ষণ ১। আক্রান্ত অংশ ফুলে ওঠে (যেমন: গলা, পেট বা মেরুদণ্ড) ২।ফোলাটি সেমি-সলিড হয়, ব্যথা থাকতে পারে ৩। লিভারে সংক্রমণ হলে পেটে পানি জমে ৪। মস্তিষ্কে হলে মাথায় পানি জমে যায় ৫। ক্ষুধামন্দা, ওজন কমে যাওয়া, হালকা জ্বর, বেশি ঘাম হওয়া এমন লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
চিকিৎসা ও করণীয় যক্ষ্মা হলে ৬-৯ মাস পর্যন্ত নিয়মিত ওষুধ খেতে হয়। লক্ষণ কমে গেলেও ওষুধ না ছেড়ে পুরো কোর্স সম্পন্ন করতে হবে। না করলে যক্ষ্মা আবার হতে পারে এবং আগের ওষুধে কাজ নাও করতে পারে। পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হবে। ছোঁয়াচে কতটা? ফুসফুসের যক্ষ্মা সবচেয়ে ছোঁয়াচে— হাঁচি, কাশি, কথা বলার মাধ্যমেও ছড়ায়।
শরীরের অন্য অঙ্গের যক্ষ্মা সাধারণত এতটা ছোঁয়াচে নয়। তবে আক্রান্ত জায়গা অন্যের কাটা অংশে লাগলে ছড়াতে পারে। চিকিৎসা শুরু হলে এক মাসের মধ্যেই জীবাণুর সংক্রমণ ক্ষমতা কমে যায়যক্ষ্মা নির্ণয়ের পরীক্ষা এমটি টেস্ট, স্পুটাম বা কফ পরীক্ষা, এক্স-রে / সিটি স্ক্যান, কালচার টেস্ট / জিন এক্সপার্ট, এফএনএসি। রোগের ধরণ অনুযায়ী শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সংক্রমণ প্রতিরোধে করণীয় হাঁচি-কাশির সময় মুখ ঢেকে রাখা। যেখানে সেখানে থুতু-কফ না ফেলা। আক্রান্তের কাছ থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকা। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা। পুষ্টিকর খাবার খাওয়া। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাওয়া। যক্ষ্মা এখন আর অজেয় নয়। সঠিক সময়ে শনাক্ত ও চিকিৎসা নিলে পুরোপুরি সেরে ওঠা সম্ভব। তাই সচেতনতা, পরীক্ষা ও নিয়মিত চিকিৎসাই যক্ষ্মা প্রতিরোধের চাবিকাঠি।
[বাংলা প্রেস বিশ্বব্যাপী মুক্তচিন্তার একটি সংবাদমাধ্যম। স্বাধীনচেতা ব্যক্তিদের জন্য নিরপেক্ষ খবর, বিশ্লেষণ এবং মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজ আগের চেয়ে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]
বিপি>টিডি
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন