আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি: সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা এই আমাদের এই বাংলাদেশ, চারিদিকে ফসলে ভরা রুপের যেন নেইকো শেষ। আমরা বাংলাদেশে জন্মেছি বলে জীবন ধন্য হয়েছে। আমরা সবাই বাঙালি। উত্তর জনপথের ঐতিহ্যবাহী জেলা নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় এবার প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকায় আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।
সবুজে ঘেড়া মাঠে সোনালী রঙের পাকা ধান বাতাসে দুলছে। বর্ষার শুরুতে এই আমন ধান রোপণ করেছিলেন কৃষকেরা। এখন বর্ষার পানি জমি থেকে নামার সাথে সাথে ধানগুলোও পাকতে শুরু করছে। তাই এই ধানগুলো ঘরে তুলতে কৃষক। কৃষকের সাথে জুটি বেঁধে মাঠে কাজ করছে পরিবারের লোক জন ও কৃষাণীরা। কাজের ফাঁকে ক্রান্তি দুর করতে, একটু সস্তি পেতে কৃষাণীদেরহাতের রান্না মাঠে বসে খেয়ে খুদা নিবারণ করতে দেখা গেছে কৃষকদের।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুড়ে দেখাযায়, খেত ভরা ধান কাটা, ঘরে তুলানো থেকে শুরু করে মাড়াই কাজে ব্যস্ত সময় পার করেছেন কৃষকেরা। এ বছর আমন ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় মহাখুশি কৃষক। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ রফিকুল ইসলাম জানান, এবার আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৭ হাজার ৯শত ৩৫ হেক্টর জমিতে। অর্জন হয়েছে ১৭ হাজার ৯শত ৪০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫ হেক্টর বেশি জমিতে চাষাবাদ হয়েছে। এতে গড় ফলন ৩.০৯ মেঃ টন আবাদ হয়েছে।
বোড়াগাড়ী ও জোড়াবাড়ী ইউনিয়ন ঘুড়ে দেখা গেছে, ধানের সোনালি ছড়ায় ভরে গেছে ফসলের মাঠ, বাতাসে দুলছে সোনালী ধানের শিষ। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার ধানের ফলন ভালো হয়েছে। আর চালের দাম বেশি হওয়ায় ধানের দামও বেশি আশা করছেন কৃষক।
বেতগাড়া গ্রামের বঙ্কিম রায় বলেন, এবার আবহাওয়া অনুকূলে ছিল, পোকামাকড়ের আক্রমণও হয়নি। যে কারণে ধানের ফলন ভালো হয়েছে। পশ্চিম বোড়াগাড়ী বটতলী গ্রামের কৃষক তৈয়বআলী বলেন, আমি ৪ একর জমিতে আমন ধান চাষ করেছি। আমার ধান অনেক ভালো হয়েছে। কৃষি অফিস থেকে বিএসগণ নিয়মিত তদারকি করায় তাদের পরামর্শে এবার আমরা সফলতার মুখ দেখেছি।
চালের দাম যেভাবে বেড়েছে, সেভাবে যদি ধানের দামও মেলে তবে আগামী মৌসুমে আরও বেশি জমিতে ধান চাষ করব। মাঠে মাঠে আমন ধান কাটার যেন আনন্দ উৎসব শুরু হয়ে গেছে। কৃষক ও কৃষাণীদের যেন দমফেলানোর সময় নেই। অনেকের বাড়িতে চলছে পিঠার সৎসব। এরই মধ্যে জমি থেকে প্রায় ৫০ শতাংশ ধান কর্তন করা হয়েছে, কিছু ধান কাঁচা থাকলেও এক সপ্তাহের মধ্যে ধান কাটা ও মাড়াই কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করেন কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ রফিকুল ইসলাম।
বিপি/কেজে