আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি: নীলফামারীর ডোমারের সীমান্ত ঘেঁষে রয়েছে হিমালয় পর্বত, গত তিন দিন থেকে উপজেলা জুড়ে চলছে হিমেল হাওয়া এবং তীব্র শীতের হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
ঠিক মতো কাজকর্ম করতে না পাড়ায় নানা রকম সমস্যা বিরাজ করছে তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে। গত সপ্তাহ ধরে উত্তরের সীমান্ত ঘেঁষে গোটা নীলফামারী জেলার উপর দিয়ে বয়ে চলেছে মৃদু শৈত্য প্রবাহ। অপরদিকে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় ঘন কুয়াশা এবং হিমেল হাওয়ায় ব্যহৃত হচ্ছে মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাত্রা, পাশাপাশি চরম দুর্ভোগে পড়েছে অসহায় দরিদ্র, খেটেখাওয়া দিনমুজুর ও ছিন্নমূল মানুষ।
মাঘের এই শীতের কামড়ে বছরের সর্বনিন্ম তাপমাত্রা রেকর্ড ছাড়িয়েছে। গত তিন দিনের ডোমারে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭.৩ ডিগ্রী থেকে ৮.০০ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এই শীত ও ঠান্ডায় অসহায় দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষের পার্শ্বে সমাজের ধনবান ও বিত্তবানদের দাড়ানোর জন্য আহবান জানিয়েছেন এলাকার সুধীসমাজ ও সচেতন মহল। অপরদিকে হিমেল হাওয়া ও তীব্র শীত উপেক্ষা করে মাঠে কাজ করা কৃষকেরা নানা রকম রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন।
উত্তরের জনপদে জেঁকে বসেছে মাঘের শীত, অনেক সময় ঘন কুয়াশায় হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় বিপর্যন্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। কোন কোন দিন দুপুর গড়িয়ে গেলেও সুর্যের দেখা মিলছে না। শহরের তুলনায় গ্রাম অঞ্চলে শীতের প্রকোপ অনেকটা বেশি,প্রচন্ড শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে প্রতিনিয়ত ছোট, বড় নানা ধরনের দূর্ঘটনা রাস্তাঘাটে ঘটেই চলেছে।
অপরদিকে যানবাহনগুলো দিনের বেলায় হেটলাইট জ্বালিয়ে রাস্তায় চলাচল করতে দেখা গেছে।
এছাড়াও শীতার্ত মানুষের জন্য সরকারি ত্রাণ সহায়তার পাশাপাশি বে-সরকারি সামাজিক সংগঠন এবং ব্যক্তি উদ্যোগে অনেকে অসহায় দরিদ্র ও ছিন্নমূল শীতার্ত মানুষের মাঝে সহায়তা প্রদান করে আসছেন। প্রচন্ড শীত এবং ঠান্ডায় নানাবিধ রোগ জীবাণু এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে, বিশেষ করে বয়স্ক পুরুষ এবং মহিলাদের পাশাপাশি শিশুরাও সর্দিকাশি, জ্বর শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়াসহ নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে সমাজের বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ। প্র্রচন্ড এই শীতের মধ্যেও মানুষজন জমির ক্ষেতে ইরি- বোরো ধান লাগার কাজ চলছে। হিমেল বাতাসের সাথে সাথে বরফের মতো ঠান্ডার কারনে আলু,বেগুন,টমেটো ও কপি সহ সবজির নানা ক্ষেতে রোগ বালাই দেখা দিয়েছে। ফলে বাজারে সবজির দাম বেড়ে গিয়েছে। ডোমার, দেবীগঞ্জ, চিলাহাটির এলাকায় অনেক কৃষকের বীজতলা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
এবিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মকর্তা ডাঃ রায়হান বারী জানান, গত তিন দিন ধরে প্রচন্ড শীত ও ঠান্ডার কারণে শ্বাসকষ্ট এবং ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। জ্বর সর্দি কাশি রোগীর সংখ্যা স্বাভাবিক, তবে বয়স্ক পুরুষ এবং মহিলাদের পাশাপাশি শিশুরাও শ্বাসকষ্ট এবং ডায়রিয়া রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। আমরা এসকল রোগীদের নিয়োমিত চিকিৎসা সেবা প্রদান করছি।
বিপি/কেজে