গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের সরকারি মোবাইল নম্বরে অপরিচিত নম্বর থেকে যাওয়া কল রিসিভ করেন না জেলা প্রশাসক মো. অলিউর রহমান। ফলে সেবা প্রত্যাশ সাধারণ মানুষ জরুরী ও গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনের সহযোগিতা ও সেবাবঞ্চিত হচ্ছেন।
জেলা প্রশাসকের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি মোবাইল নম্বর দুটি হচ্ছে ০১৭১৮-৪৪৪০৯০ ও ০১৭৬২-৬৯৫০৫০। ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, জেলা প্রশাসকের সরকারি ০১৭১৮-৪৪৪০৯০ মোবাইল নম্বরে এই ০১৭……৪৫ নম্বর থেকে গত ৩০ জানুয়ারি বিকেল তিনটায়, ১ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১২টা ৩৭ মিনিটে, একই দিন বিকেল ৩টা ৩৩ মিনিটে, ২ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টা ২০ মিনিটে ও ৫ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে কল করা হয়। কিন্তু একবারও কল রিসিভ করেননি জেলা প্রশাসক।
উপরন্তু ১ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৩টা ৩৩ মিনিটের কল কেটে দেন তিনি। তারপর আর কল ব্যাক করেননি জেলা প্রশাসক মো. অলিউর রহমান। এমনকি জেলা প্রশাসকের আরেকটি সরকারি মোবাইল নম্বর ০১৭৬২-৬৯৫০৫০ নম্বরেও ৫ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১২টা ৪১ মিনিটে ও ৪২ মিনিটে কল করলে নম্বরটি বন্ধ দেখায়। পরে ১২টা ৪৪ মিনিটে রিং হলেও জেলা প্রশাসক কল রিসিভ করেননি বলে জানান গাইবান্ধা পৌর এলাকার ওই ভুক্তভোগী। ওই ভুক্তভোগী জানান, জেলা প্রশাসককে কল দিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি কল রিসিভ না করায় রবিবার সরাসরি গিয়ে তার সাথে দেখা করি। অনেকের বাড়ী প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে বা দূরে হতে পারে।
এক্ষেত্রে জেলা প্রশাসক কল রিসিভ না করলে সাধারণ জনগণ অর্থ ব্যয়ের পাশাপাশি হয়রানীর শিকার হতে পারেন। সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদারের মতে, কোনো কর্মকর্তা ফোন ধরছেন না, এমন অভিযোগে তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া গেলে নিতে হবে বিধিসম্মত ব্যবস্থা। আর এমনটা যে করা হচ্ছে, এটাকে জনগণের মধ্যে জানান দিতে হবে। প্রয়োজনে বিভিন্ন প্রচারমাধ্যমের সহায়তা নেওয়া যায়। এ ধরনের সেবা পাওয়া জনগণের অধিকার। এ বিষয়ে তাঁদের সচেতন করারও প্রয়োজন রয়েছে।
এ বিষয়ে রবিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা প্রশাসক মো. অলিউর রহমান বলেন, প্রতিদিন অসংখ্য কল আসে। যে কাজটি উপজেলা চেয়ারম্যান বা পৌরসভার মেয়র বা অন্য কাউকে দিয়ে হবে সেই কাজটির জন্য অনেকে আমাকে কল দেন। এরকম অপ্রয়োজনে অনেকে কল করে থাকেন। আবার অনেকে বারবার কল দিতেই থাকেন। কল ধরা হয়। অনেক সময় ব্যস্ত থাকলে পরে সেসব নম্বরে কল ব্যাক করা হয় বলে জানান জেলা প্রশাসক।
বিপি/কেজে