গাইবান্ধা প্রতিনিধি: বর্তমান বাজার অনুযায়ী দাম নির্ধারণ ও সকল নির্মাণ সামগ্রীর দাম কমানোসহ ছয় দফা দাবিতে গাইবান্ধায় মানববন্ধন করেছেন ঠিকাদাররা।
রবিবার দুপুরে গাইবান্ধা জেলা শহরের ডিবি রোডের আসাদুজ্জামান মার্কেটের সামনে এই কর্মসূচি পালন করে গাইবান্ধা জেলা সমন্বিত ঠিকাদার কল্যাণ সমিতি। এতে এলজিইডি, সড়ক ও জনপথ, গণপূর্ত, পানি উন্নয়ন বোর্ড, জনস্বাস্থ্য ও শিক্ষা প্রকৌশল, জেলা পরিষদ এবং পৌরসভাসহ বিভিন্ন দপ্তরের ঠিকাদাররা উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন গাইবান্ধা জেলা সমন্বিত ঠিকাদার কল্যাণ সমিতির আহবায়ক শাহজাহান খান আবু। উপস্থিত ছিলেন ঠিকাদার আবদুল লতিফ হক্কানী, সাইদুর রহমান বাবু, আয়ান উদ্দিন, সারোয়ার হোসেন শাহীন, ফরহাদউল হক, সুজন প্রসাদ, শাহ আহসান হাবীব রাজিব, খান মো. সাঈদ হোসেন জসিম, সুমন হক্কানী ও রানা মিয়াসহ আরো অনেকে। মানববন্ধনে শাহজাহান খান আবু বলেন, চলতি অর্থবছরে যেসকল ডিপার্টমেন্টের টেন্ডার ও কার্যাদেশ হয়েছে সেসমস্ত কাজ প্রাক্কলন অনুযায়ী শুরু করার পর হঠাৎ করে সকল নির্মাণ সামগ্রীর দাম অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
যেমন- রড, সিমেন্ট, পাথর, বিটুমিন, ইট, বালু, বৈদ্যুতিক সামগ্রী, সেনেটারী ফিটিংস, টাইলস, রং, অ্যালুমিনিয়ামসহ সকল সামগ্রী দরপত্রের প্রাক্কলনে যে দাম ধরা হয়েছে তার চেয়ে প্রতিটি পণ্যের বর্তমান বাজারদর অনেক বেশী হয়ে গেছে। এ অবস্থায় কাজ করলে ঠিকাদাররা দারুন আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। শুধু তাই নয়, এই রকম বাজার মূল্যে নির্মাণ সামগ্রী ক্রয় করে কাজ বাস্তবায়ন করলে যারা ব্যাংক ঋণ গ্রহন করেছেন তারা দেউলিয়া হয়ে যাবেন ও ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করতে পারবেন না।
এতে করে চলমান সকল উন্নয়নমূলক কাজ বাঁধাগ্রস্ত হবে। তাতে করে ঠিকাদাররা আর্থিক, মানসিক এবং শারীরিকভাবে ক্ষতির শিকার হবেন। বক্তারা আরও বলেন, নির্মাণ সংশ্লিষ্ট সকল নির্মাণ সামগ্রীর দাম কমাতে হবে।
যেমন- রড, সিমেন্ট, পাথর, বিটুমিন, ইট, বালু, বৈদ্যুতিক সামগ্রী, সেনেটারী ফিটিংস, টাইলস, রং, অ্যালুমিনিয়ামের সামগ্রী ইত্যাদি। চলতি অর্থ বছরে চলমান সকল কাজের বর্তমান বাজার অনুযায়ী রেট শিডিউল রিভাইজ করতে হবে। বর্তমানে নির্মাণ সামগ্রীর দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণে ঠিকাদারের উপর আরোপিত ভ্যাট ইনকাম ট্যাক্স কমাতে হবে। ঠিকাদার ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রতি মাসে ভ্যাট রিটার্ন দাখিলের পরিবর্তে প্রতি অর্থবছরে একবার রিটার্ন দাখিলের ব্যবস্থা করতে হবে। গাইবান্ধা জেলায় কোন বালুমহাল না থাকার ফলে নির্মাণ কাজের বালু সংগ্রহে নানা রকম সমস্যার সম্মুুখীন হতে হয়। তাই নির্দিষ্ট বালুমহালের ব্যবস্থা করতে হবে। এতে করে সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে।
নির্মাণ সমাগ্রীর দাম লাগামহীন বৃদ্ধির কারণে ঠিকাদারী ক্ষতি লাঘবের জন্য এলটিএম দরপত্রে ৫ শতাংশ লেস এর পরিবর্তে এটিপিএআরে (সমদর) দরপত্র আহবানের ব্যবস্থা করতে হবে। তাই সকল প্রকার উন্নয়নমূলক কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন করার জন্য সরকারের নিকট এসব ছয় দফা দাবি জানান বক্তারা।
বিপি/কেজে