ঠাকুরগাও প্রতিনিধি :ঠাকুরগাওয়ের রুহিয়া ছালেহীয়া আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ মুজাহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে গোরস্তানের গাছ কর্তনের অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে,সদর উপজেলার ঘনিমহেশপুর গ্রামে অবস্থিত নাডোবা গোরস্থান একটি ঐতিহ্যবাহী পুরাতন কবরস্থান।সিএস ও এসএ খতিয়ানে ৩৬২,৩৬৩,৩৬৫ দাগের ২. ৩৫ একর জমি কবরস্থান হিসেবে চুড়ান্তভাবে প্রকাশিত ও প্রচারিত।
অভিযোগ রয়েছে,রুহিয়া ছালেহীয়া আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ মুজাহারুল ইসলাম কয়েক বছর পুর্বে খতিয়ান ঘষামাজা করে গোরস্থানের জমি কয়েকজনের কাছ থেকে রেজিষ্টি মূলে কিনে নেয়।শুধু তাই নয়,মাহিন্দ্র ট্রাকক্টর চালিয়ে অসংখ্য কবর নষ্ট করে কবরস্থানকে আবাদী জমিতে পরিণত করে। এদিকে ওই এলাকায় স্যাটেলমেন্ট শুরু হওয়ায় গোরস্থানের পক্ষে স্থানীয় লোকজন জেলা প্রশাসক ও স্যাটেলমেন্ট অফিসে অভিযোগ দেয়।
অভিযোগ শুনানী শেষে স্যাটেলমেন্ট অফিস গোরস্থানের জমি অধ্যক্ষ মুজাহারুল ইসলামের খতিয়ান হতে অবমুক্ত করে দেয়।সেই সাথে ৩৬২,৩৬৩ ও ৩৬৫ দাগের জমির খারিজ খতিয়ান বাতিলের জন্য উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) বরাবরে মামলা দায়ের করে স্থানীয় লোকজন যা এখনো বিচারাধীন রয়েছে।
এদিকে গত শনিবার অধ্যক্ষ মুজাহারুল ইসলামের ছোটভাই মহিউল ইসলাম কবরস্থানের জমির ৩ টি ইউক্লিপটাস গাছ চুরি করে কেটে নিয়ে যায় যার মূল্য অনুমান ৩০ হাজার টাকা।খবর পেয়ে ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম ইসলাম বাধা দিলে কর্তনকৃত গাছ নিয়ে চোরেরা পালিয়ে যায়।এ ঘটনায় রুহিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে শফিকুল ইসলাম মেম্বার জানান,নাডোবা গোরস্থানটি মূলত অধ্যক্ষ মুজাহারুল ইসলামের বাড়ির পাশে।সিএস ও এসএ খতিয়ানের ৬৪১ নম্বর খতিয়ানে গোরস্থানের জমিগুলি অনৃতর্ভুক্ত ছিল।খতিয়ানের মালিকের ওয়ারিশরা অভাবে পড়লে মুজাহারুল প্রিন্সিপাল তার পরিবারের লেকজন এবং তার দোস্তের নামে কয়েকটি দলিলের মাধ্যমে কিনে নেয় এবং খতিয়ানের কাগজে কবরস্থান শব্দটি ঢাকা দিয়ে রেজিস্ট্রি করে নেয়।পরে আমরা জানতে পের স্যাটেলমেন্ট অফিসে ডওসপুট দেই।ডিসপুট শুনানী শেষে কবরস্থানের দাগসমুহ ব্যক্তিমালিকানাধীন খতিয়ান হতে অবমুক্ত করে দেয়।
সালেহা খাতুন নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহ শিক্ষক মজিবর রহমান জানান, শনিবার মহিউল গাছ কাটা শুরু করলে আমি খবর পেয়ে বাধা দিতে যাই।ওই সময় আমাকে একাকি পেয়ে অধ্যক্ষ মুজাহারুলের ভাই আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়।
এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ মুজাহারুল ইসলাম জানান,আমার ভাই মহিউল গোরস্থানের জমি হতে গাছ কাটার খবর আমি জানি না।তবে আমার বাড়ির পাশ থেকে কিছু গাছ কাটে নিজের প্রয়োজনে।এ গটনার সঙ্গে আমি জড়িত নই।রুহিয়া থানার ওসি চিত্তরন্জন রায় জানান,গোরস্থানের জমি হতে গাছ কর্তনের অভিযোগ মৌখিকভাবে শুনেছি।লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত: ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিপি/কেজে