আবরার হত্যা — ফারুক মিয়া
কুষ্টিয়ায় জন্ম নেওয়া মেধাবী আবরার
জাতি আজ তারই জন্য করছে হাহাকার।
বুয়েটে চান্স পেয়েছিলো মেধারই বলে,
থাকতো সে বুয়েটেরই শেরেবাংলা হলে।
৬ অক্টোবর, ২০১৯ দিবাগত কালো রাতে
নির্মমভাবে খুন হয় মানুষরুপী পশুদের হাতে।
পড়ে আছে তার পড়ার টেবিল, সেলফ, ট্রাঙ্ক, খাট টাও আছে পাতা।
পড়ার টেবিলে পড়ে আছে অর্ধ পৃষ্ঠা অংক করা খাতা।
আছে অগোছালো বিছানা, কাপড়-চোপড় কিংবা মশারী।
কিন্তু যে থাকার কথা ছিল সে ই নেই
সে আজ কবর বাসী।
নরপিশাচরা কেঁড়ে নিয়েছে বাবার মুখের হাসি
স্তব্ধ আজ গোটা জাতি, স্তব্ধ এলাকাবাসী।
দুখিনী মায়ের বুক জুড়ে আজ কান্নায় হাহাকার
‘মা’ বলে ডাকবে না আর ছেলে তার আবরার।
ছেলে হারানোর বেদনায় আজ মায়ের কলিজা ক্ষত-বিক্ষত
জাতি যে আজ হারিয়েছে বিবেক,বুদ্ধি হারিয়েছে মনুষ্যত্ব।
বাবা মায়ের স্বপ্ন ছিল ছেলে উজ্জ্বল করবে মুখ।
তবে কেন আজ সে বাবা মায়ের কান্নায় ভাসে বুক?
কেন আজ দুর্নীতি, অন্যায়, খুন,গুম?
কেন ক্যাম্পাসে সন্ত্রাস??
সে তো হতে এসেছিল ইন্জিনিয়ার,
কেন হতে হলো লাশ?
সকল স্বপ্ন, আশা-ভরসা হয়েছে ধূলিসাৎ
রাত জেগে টেবিলে বসে থাকা আবরার
পাইনি স্বপ্ন পূরনের স্বাদ।
আর কতকাল দেখতে হবে রক্তাক্ত বাংলা?
আর কতকাল হারানো ছেলের স্মৃতি নিয়ে কেঁদে যাবে মা??
বিপি/কেজে