১৩ অক্টোবর ২০২৫

ট্রাম্পের 'শপিং লিস্টে' আর কোন কোন দেশ?

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৪১ পিএম
ট্রাম্পের 'শপিং লিস্টে' আর কোন কোন দেশ?
  ছাবেদ সাথী কানাডা, গ্রিনল্যান্ড এবং পানামা এই তিন দেশের কত মানুষ যুক্তরাষ্ট্রের অংশ হতে চান। ধারণা করা যায়, সংখ্যাটা লক্ষাধিক হতে পারে। কোনো জনমত জরিপ সংস্থা হয়তো এ বিষয়ে কাজ করতে চাইবে। এই বিষয়ে আগ্রহ বাড়াতে ট্রাম্প এই সপ্তাহের শুরুতে গ্রিনল্যান্ড নিয়ে ট্রুথ সোশ্যাল-এ পোস্ট করেন: 'ডন জুনিয়র এবং আমার প্রতিনিধিরা গ্রিনল্যান্ডে পৌঁছেছে। অভ্যর্থনা চমৎকার হয়েছে। তারা এবং মুক্ত বিশ্ব নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা এবং শান্তি প্রয়োজন! এই চুক্তি অবশ্যই সম্পন্ন করতে হবে। মাগা: মেক গ্রিনল্যাণ্ড গ্রেট এগেইন! কানাডার বিষয়ে যা এখন আমাদের সম্ভাব্য '৫১তম রাজ্য'। ট্রাম্প উত্তর আমেরিকার মানচিত্রের দুটি ছবি পোস্ট করেছেন। উভয় ছবিতেই উত্তর আমেরিকাকে সম্প্রসারিত যুক্তরাষ্ট্র হিসেবে দেখানো হয়েছে। সেখানে আর কোনো কানাডা নেই! যদিও ট্রাম্প বিষয়টি নিয়ে মজা করছেন। তার পূর্ববর্তী অনেক পদক্ষেপ বা নীতির মতোই এর পেছনে কিছু বাস্তব প্রতিভা ও যুক্তি রয়েছে। গ্রিনল্যান্ড এবং পানামার ক্ষেত্রে জাতীয় এবং অর্থনৈতিক নিরাপত্তার বিষয় রয়েছে, যা সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের উপর প্রভাব ফেলে। মার-এ-লাগো থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন: 'জাতীয় নিরাপত্তার জন্য আমাদের গ্রিনল্যান্ড প্রয়োজন। সেখানে প্রায় ৪৫,০০০ মানুষ বাস করে। বাইরে দেখুন চীনের জাহাজ চারদিকে, রাশিয়ার জাহাজ চারদিকে। আমরা এটি হতে দেব না। ডেনমার্ক চুক্তি করতে চায়, কিন্তু কেউ জানে না তাদের কোনো অধিকার আছে কি না। জনগণ হয় স্বাধীনতার পক্ষে ভোট দেবে, নয়তো যুক্তরাষ্ট্রে যোগ দেবে।” ডেমোক্র্যাট সিনেটর জন ফেটারম্যান (ডি-পিএ) এই ধারণাকে সমর্থন করেন। ফক্স নিউজে গ্রিনল্যান্ড অধিগ্রহণ নিয়ে আলোচনায় তিনি বলেন: 'আমি বলপ্রয়োগে এটি গ্রহণের পক্ষে নই, তবে এটি একটি দায়িত্বপূর্ণ আলোচনা। মনে রাখুন লুইজিয়ানা পারচেজ? আমি মনে করি আলাস্কাও একটি দুর্দান্ত চুক্তি ছিল।' বিশ্বজুড়ে কয়েক কোটি আমেরিকান এবং মানুষ ট্রাম্পকে বিভিন্ন কারণে সমর্থন করে। তার অন্যতম কারণ হলো বাস্তব ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতা। আমাদের অনেক প্রেসিডেন্ট পেশাদার রাজনীতিবিদ ছিলেন, যাদের ব্যবসায়িক জগতের সামান্য বা কোনো ধারণাই ছিল না। গত নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জেতার পরের মাসেই ডোনাল্ড ট্রাম্প গ্রিনল্যান্ডের ওপর তাঁর দেশের মালিকানা প্রতিষ্ঠা নিয়ে প্রথম দফায় প্রেসিডেন্ট থাকাকালে দেওয়া বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি করেন। তিনি বলেন, এর মালিকানা প্রতিষ্ঠা করাটা ‘খুবই প্রয়োজন’। এ প্রসঙ্গে সাম্প্রতি ট্রাম্পের ফ্লোরিডা রিসোর্টে এক সংবাদ সম্মেলনে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, পানামা খাল ও গ্রিনল্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ পাওয়ার যে চেষ্টা তিনি করছেন, সেই প্রক্রিয়ায় সফল হতে কোনো ধরনের সামরিক ও অর্থনৈতিক বল প্রয়োগ করবেন না—বিশ্বকে তিনি এমন নিশ্চয়তা দিতে পারবেন কি না। জবাবে কোনো রাখঢাক না করে ট্রাম্প বলেন, ‘না, ওই দুটোর কোনোটির বিষয়ে আমি আপনাদের কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারছি না। তবে আমি এটা বলতে পারি, (যুক্তরাষ্ট্রের) অর্থনৈতিক নিরাপত্তায় আমাদের ওই দুটিই (পানামা খাল ও গ্রিনল্যান্ড) প্রয়োজন।’ গ্রিনল্যান্ডের মালিকানা ‘জরুরি’ হওয়া প্রসঙ্গে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তার অজুহাত দিলেও বিশেষজ্ঞরা বলেন, এর পেছনে নির্বাচিত এই প্রেসিডেন্টের অন্যান্য উদ্দেশ্য থাকতে পারে, যেমন দ্বীপটি হলো প্রাকৃতিক সম্পদের এক ভান্ডার। এর মধ্যে পৃথিবীর বিরল কিছু ধাতুও রয়েছে। জলবায়ুর পরিবর্তনে যেভাবে উষ্ণতা বাড়ছে, তাতে বরফ গলে গিয়ে এখান থেকে এসব সম্পদ আহরণ করা আরও সহজ হয়ে উঠতে পারে। গ্রিনল্যান্ড হলো বিশ্বের সর্ববৃহৎ দ্বীপ। জনসংখ্যা ৫৬ হাজারের কিছু বেশি। ডেনমার্কের একসময়ের উপনিবেশ এ দ্বীপ এখন দেশটির স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল। এটির ভূরাজনৈতিক অবস্থান অনন্য। দ্বীপটি বসে আছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের মাঝখানে। গ্রিনল্যান্ডের রাজধানী নুক। শহরটি যত না ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনের কাছে, তার চেয়ে বেশি যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের নিকটে। ‘ড্যানিশ ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ’-এর জ্যেষ্ঠ গবেষক আলরিক প্রাম গাদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই গ্রিনল্যান্ডের মালিকানাকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হয়, বিশেষ করে রাশিয়া থেকে হামলা ঠেকানোর ক্ষেত্রে। জাহাজ চলাচলের পথ ‘দ্য নর্থওয়েস্ট প্যাসেজ’ গ্রিনল্যান্ড উপকূল হয়ে গেছে। আর এ দ্বীপ কৌশলগত সামুদ্রিক এলাকা গ্রিনল্যান্ড-আইসল্যান্ড-যুক্তরাজ্যের অংশ। গ্রিনল্যান্ড কেনার ধারণা প্রকাশকারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পই কিন্তু প্রথম নন। তাঁর আগে প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রু জনসন ১৮৬৭ সালে যখন আলাস্কা কেনেন, তখন গ্রিনল্যান্ড কেনার বিষয়ও বিবেচনা করছিলেন তিনি। আবার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষে প্রেসিডেন্ট ট্রুম্যানের প্রশাসন দ্বীপটি কিনতে ডেনমার্ককে ১০ কোটি মার্কিন ডলার দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। ডেনমার্কের গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে এ তথ্য জানা যায়। এসব ধারণা বা প্রস্তাবের কোনোটি সাফল্যের মুখ দেখেনি। তবে ১৯৫১ সালে প্রতিরক্ষা চুক্তির অধীন গ্রিনল্যান্ডের উত্তর-পশ্চিমে একটি বিমানঘাঁটি গড়তে সক্ষম হয় যুক্তরাষ্ট্র। এ ঘাঁটি বর্তমানে ‘পিটুফিক স্পেশ বেস’ নামে পরিচিত। এটি মস্কো ও নিউইয়র্কের মাঝামাঝি অবস্থিত। আর তা মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীর সর্ব–উত্তরের ঘাঁটি। এটি ক্ষেপণাস্ত্র সতর্কব্যবস্থা সজ্জিত। প্রাম গাদ সিএনএনকে বলেন, ‘গ্রিনল্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ বৈরী মনোভাবাপন্ন কোনো বৃহৎ শক্তির হাতে না যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। কেননা, দ্বীপটি যুক্তরাষ্ট্রে আক্রমণ চালানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থান হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।’ রয়্যাল হলোওয়ে, ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের ভূরাজনীতির অধ্যাপক ক্লাউস ডডস বলেন, ট্রাম্পের কাছে গ্রিনল্যান্ড আরও আকর্ষণীয় হওয়ার কারণ হতে পারে দ্বীপটির প্রাকৃতিক সম্পদের মজুত। এ দ্বীপের প্রাকৃতিক সম্পদের মধ্যে রয়েছে তেল ও গ্যাস। আরও আছে পৃথিবীর বিরল কিছু ধাতু, যেগুলোর বৈদ্যুতিক গাড়ি ও বায়ুকলের পাশাপাশি সামরিক সরঞ্জাম উৎপাদনে উচ্চ চাহিদা রয়েছে।   বিশ্বের বিরল সব ধাতু উৎপাদনে চীন এগিয়ে। দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের দায়িত্ব গ্রহণকে সামনে রেখে চীন সে দেশ থেকে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ ও সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তির রপ্তানির ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করার হুমকি দিয়েছে। অধ্যাপক ডডস সিএনএনকে বলেন, ‘(গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদের ওপর) চীনের ক্রমবর্ধমাণ প্রভাবে ট্রাম্প ও তাঁর উপদেষ্টারা যে খুবই উদ্বিগ্ন, তা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। গ্রিনল্যান্ড এসব গুরুত্বপূর্ণ খনিজের একটি সম্ভাব্য সমৃদ্ধ ভান্ডার।’ গ্রিনল্যান্ডের বরফ গলছে এবং আর্কটিকের তাপমাত্রা দ্রুত বাড়ছে। এটি গ্রিনল্যান্ডকে জলবায়ু সংকটের প্রধান শিকার হওয়া দেশ ও এলাকাগুলোর সামনের সারিতে নিয়ে আসছে। কিন্তু জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবে গ্রিনল্যান্ডের ভৌগলিক বৈশিষ্ট্যে পরিবর্তন ঘটলে তাতে অর্থনৈতিক সুবিধা দেখছেন কেউ কেউ। আর্কটিকে বরফ গলতে থাকায় সেখানে নতুন নতুন জাহাজ চলাচলের পথ উন্মুক্ত হচ্ছে। ২০২৪ সালের আগপর্যন্ত দশকজুড়ে এ অঞ্চলে জাহাজের চলাচল বেড়েছে ৩৭ শতাংশ। আর্কটিক কাউন্সিলের মতে, জাহাজের চলাচল এতটা বেড়ে যাওয়ার আংশিক কারণ বরফ গলে যাওয়া। অধ্যাপক ডডস বলেন, ‘আমি মনে করি, ট্রাম্পের এটা জানা আছে, আর্কটিকের বরফ গলছে এবং এটি একটি সুযোগ হয়ে উঠতে পারে।’ ফিলিপ স্টেইনবার্গ ইংল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব ডরহামের ভূগোলের অধ্যাপক। তিনি বলেন, ‘এটাও ধারণা করা হয়, বরফ গলতে থাকলে গ্রিনল্যান্ড থেকে প্রাকৃতিক সম্পদের আহরণ সহজতর হতে পারে। যদিও জলবায়ু সংকট এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে মোড় ঘোরানো কোনো সুযোগ এনে দেয়নি।’ এদিকে হোয়াইট হাউসে বসার পর ট্রাম্প তাঁর গ্রিনল্যান্ড কেনার আকাঙ্ক্ষার বাস্তব রূপের প্রতিফলন কীভাবে ঘটাবেন, তা এখনো স্পষ্ট নয়। এ প্রসঙ্গে ড্যানিশ ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের প্রাম গাদ বলেন, ‘এটি কি শুধুই ট্রাম্পের সাহসিকতা প্রদর্শন, কিছু পাওয়ার হুমকি, নাকি প্রকৃতই এমন কিছু, যা তিনি বাস্তবে ঘটাতে চান—কেউ জানেন না।’ ট্রাম্প বারবার প্রমাণ করেছেন যে অভিজ্ঞতা, প্রতিভা এবং সেগুলোর উপর ভিত্তি করে কাজ করার প্রবৃত্তি গুরুত্বপূর্ণ। 'দ্য আর্ট অব দ্য ডিল' বইয়ে ট্রাম্প উল্লেখ করেছেন: 'আচ্ছা, যদি আমরা এটাকে কিনে নিই?' ট্রাম্প এখন ভবন বা হোটেলের পরিবর্তে দেশের দিকে নজর দিচ্ছেন। কিছু সমস্যাপূর্ণ দেশ দেখে তিনি হয়তো ভাবেন, 'আচ্ছা, যদি আমরা এটাকে কিনে নিই এবং যুক্তরাষ্ট্রের অংশ বানাই?' ব্যবসায়িক জগতে প্রায়ই সবচেয়ে উজ্জ্বল কৌশলগুলোই হয় সবচেয়ে সরল। সিনেটর ফেটারম্যানের বক্তব্য অনুসারে, ট্রাম্প হয়তো সত্যিই কিছু বিশেষ চিন্তা করছেন। এই উপলব্ধি আবার একটি প্রশ্ন উত্থাপন করে: ট্রাম্পের 'শপিং লিস্টে' আর কোন কোন দেশ থাকা উচিত? যদি সরাসরি অধিগ্রহণ বা যুক্ত করার জন্য না হয়, তবে অন্তত পরিস্থিতিগত সচেতনতার জন্য কি এই বিষয়ে চিন্তা করা উচিত? এই প্রশ্ন অবশ্যই কিছুটা মজার ছলে করা হয়েছে। তবে এর একটি গুরুতর দিকও রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় এবং অর্থনৈতিক নিরাপত্তার ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে এমন দেশগুলোর কথা বিবেচনা করলে, কিউবার কী হবে? কমিউনিস্ট এই দেশটি দ্রুত ভেঙে পড়ছে, কিন্তু এটি যুক্তরাষ্ট্রের খুব কাছাকাছি অবস্থান এবং শত্রুদের আমাদের বিরুদ্ধে একটি কার্যক্ষেত্র হিসাবে কাজ করার সুযোগ দেওয়ার কারণে এটি এখনও একটি সুস্পষ্ট এবং তাৎক্ষণিক হুমকি হিসেবে চিহ্নিত। সেই দেশের দুর্নীতিগ্রস্ত এবং ব্যর্থ নেতৃত্ব একপাশে রেখে, যদি আমাদের কিউবার প্রকৃত জনগণের মতামত নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হতো। আমি বাজি ধরে বলতে পারি যে তাদের একটি বিশাল অংশ চায় যে তাদের দ্বীপ রাষ্ট্র অবিলম্বে যুক্তরাষ্ট্রের অংশ হয়ে যাক। 'যদি' এর তালিকায় আরো যোগ করলে, বাহামা, হাইতি, তাইওয়ান বা এমনকি উত্তর কোরিয়ার কথা ভাবুন। ট্রাম্প হওয়া মানে হলো জগৎকে তার নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে দেখা। তিনি কী দেখছেন যা আমরা মিস করছি? আপনার পরবর্তী 'গালফ অফ আমেরিকা' ভ্রমণের আগে এই প্রশ্নটি নিয়ে ভাবা নিশ্চয়ই মূল্যবান হতে পারে। ছাবেদ সাথী, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী কবি, লেখক ও সাংবাদিক। সম্পাদক-বাংলা প্রেস বিপি।এসএম  
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!